এলিমিনেটরে হিটম্যান ‘শো’তে জয় মুম্বইয়ের, ব্যর্থ গুজরাটের হয়ে সুদর্শনের লড়াই

0



ম্যাচ শেষে রোহিত শর্মাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন হার্দিক পান্ডিয়া। হতে পারেন রোহিত প্রাক্তন দলনেতা, কিন্তু তিনিই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের নায়ক। হিটম্যানের ‘শো’তেই ফাইনালের একধাপ দূরে গিয়ে দাঁড়াল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে এলিমিনেটরে হেরে বিদায় নিল গ্রুপপর্বে দাপট দেখিয়ে খেলে যাওয়া শুভমনের গুজরাট টাইটান্স। ব্যর্থ হল সাই সুদর্শনের অসাধারণ লড়াই।


মোট ৪৩৬ রানের টানটান ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তোলে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান। জবাবে গুজরাট টাইটান্স ৬ উইকেট হারিয়ে থামে ২০৮ রানে। মুম্বই জয় পায় ২০ রানে। মুম্বইয়ের বিশাল রানের ভিতটা গড়া হয়ে যায় ওপেনিং জুটিতেই। রোহিত শর্মা ও জনি বেয়ারস্টোর জুটি যখন ভাঙে ৭.২ ওভারে উঠে যায় ৮৪ রান। ২২ বলে ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বেয়ারস্টো আউট হয়ে যান। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে রোহিত করে যান ৫০ বলে ৮১ রান। এরমধ্যে ৯ চার ও ৪ ছক্কা। সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও ধারাবাহিক। ২০ বলে করেন ৩৩ রান। অন্যদিকে তিলক বর্মা ১১ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক পাণ্ডিয়াও। ৯ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। রান তাড়া করতে নেমে সমানে সমানে পাল্লা দিতে থাকে গুজরাটও। সৌজন্যে সুদর্শনের সুন্দর ব্যাটিং।

পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৭৬ রান তোলে তারা। ততক্ষণে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন গুজরাটের ওপেনার সাই সুদর্শন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে স্বমহিমায় ফেরেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দরের (২৪ বলে ৪৮) উইকেট, ভাঙেন সুদর্শনের সঙ্গে তাঁর ৮৪ রানের জুটি। এরপরই ফেরেন সুদর্শনও। ৪৯ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করেন তিনি। তার আগে অধিনায়ক শুভমন গিল অবশ্য ১ রানের বেশি করতে পারেননি।  শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ২৪ রান। তবে ওই ওভারে ৩ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন অশ্বিনী কুমার। ম্যাচের সেরা হন রোহিত শর্মা। এই নিয়ে ২১ বার এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। যা ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিরাট কোহলি সর্বোচ্চ ১৯ বার পেয়েছেন। রোহিতের আগে আছেন ক্রিস গেইল (২২) ও এবি ডেভিলিয়ার্স (২৫) বার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রবিবার পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে মুম্বই।  

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *