জুবিন গর্গের মৃ্ত্যুতে নতুন মোড়! বিষ প্রয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ব্যান্ড

0

সদস্যেরজুবিন গর্গের রহস্যমৃত্যু ঘিরে নতুন করে উত্তাল সমাজ মাধ্যম। জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যু ঘিরে নিয়েছে এক নতুন মোড়! চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তাঁর টিমের ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামী। তাঁর দাবি, শিল্পীর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহন্তই জুবিনকে ‘বিষ’ দিয়ে হত্যা করেছেন এবং দুর্ঘটনা বলে সাজিয়ে গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরমধ্যেই গায়কের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী শেখরজ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃতপ্রভা মহন্ত। রিমান্ড নোটে শেখর জ্যোতি গোস্বামী দাবি করেছেন, জুবিন গর্গের মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্যই সিঙ্গাপুরের একটি নিরিবিলি স্থান, বিশেষ করে প্যান প্যাসিফিক হোটেলকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় জানিয়েছেন, শেষ ক’দিন ধরে জুবিন মানসিক ও শারীরিকভাবে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। সেই সময় কাছের কয়েকজন সহযোগীর ভূমিকা সন্দেহজনক বলে তাঁর দাবি। বিশেষত ম্যানেজার ও আয়োজকের নাম তিনি পুলিশকে জানান। জুবিনের টিমের ড্রামারের আরও বিস্ফোরক দাবি, মৃত্যুর দিন ম্যানেজার সিদ্ধার্থ একপ্রকার জোর করেই বোটের গতিবিধি নিজের কন্ট্রোলে রাখেন। মাঝ সমুদ্রে সেই বোটের নিয়ন্ত্রণ হারায় সে। জলে নেমে জুবিন গর্গ নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না, তখন নাকি সিদ্ধার্থ চেঁচিয়ে বলছিলেন, ‘যেতে দাও, যেতে দাও’। শেখরজ্যোতি গোস্বামী জোর দিয়ে বলেন, জুবিন ছিলেন ‘দক্ষ সাঁতারু’। ফলে তার স্বাভাবিকভাবে ডুবে যাওয়ার কোনো কারণ ছিল না। মৃত্যুর আগের মুহূর্তে নাকি জুবিন গর্গের নাক-মুখ দিয়ে যখন ফেনা জাতীয় জিনিস বেরোচ্ছিল। তখন সিদ্ধার্থ বারবার বলছিলেন, এটা অ্যাসিডের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, শর্মা তাকে ইয়ট দুর্ঘটনার কোনো ভিডিও ফুটেজ শেয়ার না করার নির্দেশ দিয়ে প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তদন্তকারীদের কাছে শেখরজ্যোতি বলেন, ‘জুবিন নিজে ভালো সাঁতারু ছিল। ও আমাকে আর শর্মাকে সাঁতার কাটা শিখিয়েছে। ওর পক্ষে জলে ডুবে মরে যাওয়া সম্ভব নয় কোনোভাবেই। শ্যামকানু মোহন্তের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধার্থ শর্মাই জুবিনকে বিষ খাইয়েছে; আর ইচ্ছে করেই সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছিল। এমনকি সিদ্ধার্থ কাউকে ওই বোটের ভিডিও শেয়ার করতেও মানা করেছিল।’এদিকে সিঙ্গাপুর সরকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিয়েছে গায়কের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গর্গের হাতে। রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনেও। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুবা ডাইভিং করার সময় নয়, সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের প্রশাসন আরও জানিয়েছে, জুবিনের মৃত্যুবিষয়ক পুলিশি তদন্ত এখনো চলছে। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের ভিত্তিতে অসম পুলিশও তদন্তে নেমেছে। জুবিন গর্গের মৃত্যুসংক্রান্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, ইভেন্ট ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্ত, ব্যান্ড সদস্য ও মূল সাক্ষী শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃত প্রভা মহন্ত।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *