মেসিকাণ্ডে শতদ্রু দত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ, মেসিকে আনতে খরচ হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা!
যুবভারতীতে মেসি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক শতদ্রু দত্ত। তবে তিনি নিজেও ফেঁসেছেন। শতদ্রুর রিষড়ার বাড়িতে তল্লাশি থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে বিশেষ তদন্তকারী অফিসাররা। সেইসঙ্গে গ্রেফতার শতদ্রু দত্তর ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে সিট। শুক্রবারই শতদ্রুর রিষড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বাড়িতে পরিচারিকা ছাড়া কেউই ছিলেন না। তল্লাশিতে মেসির ইভেন্ট সংক্রান্ত একাধিক নথির পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এরপরই পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকারের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
দীর্ঘক্ষণ ধরে পুলিশি জেরাও করা হয় শতদ্রুকে। জানা গেছে,গোটা অনুষ্ঠানে মোট খরচ হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ভারত সফরের জন্য মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। মেসির সফরের জন্য কর বাবদ কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছিল ১১ কোটি টাকা। ১০০ কোটির মধ্যে ৩০ শতাংশ টাকা আসে স্পনসরদের থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকা এসেছে টিকিট বিক্রি করে।উল্লেখ্য, যুবভারতী কাণ্ডে ধৃত শতদ্রু দত্তকে ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।যুবভারতীতে যে টিকিট বিক্রি হয়েছিল তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটির কাছাকাছি বলে খবর। সেই টাকা যাতে শতদ্রুর অ্যাকাউন্টে যা চলে যায়, তা নিশ্চিত করতে চায় সিট।
সূত্রের খবর, জেরায় শতদ্রু দত্ত নাকি দাবি করেছেন, মেসি ব্যক্তিগত স্পর্শ বা অপ্রয়োজনীয় ভিড় একেবারেই পছন্দ করেননি।পিঠে হাত দেওয়া বা জড়িয়ে ধরার বিষয় নিয়ে তাঁর অপছন্দের কথা বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তা আধিকারিকদেরও জানান। বারবার ঘোষণা করেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলেও দাবি করেন শতদ্রু।
পুলিশি জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবিও করেছেন শতদ্রু। সূত্রের খবর, যুবভারতীর অনুষ্ঠানে প্রথমে ১৫০ জনের গ্রাউন্ড অ্যাকসেস কার্ড দেওয়া হয়। পরে প্রভাবশালীদের চাপে এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল। শতদ্রু দত্তর দাবি, ওইদিনের বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি কোনওভাবেই দায়ী নন।
