ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি লুকিয়ে ভিডিয়ো! চনমনে লাল হলুদ ব্রিগেড, বিনো জর্জের হুঙ্কার – শিল্ড জিতবই

ডার্বি সবসময়ই যেন স্পেশাল। সমর্থকদের যেমন উন্মাদনা, তেমনই মাঠের উত্তেজনাও। শিল্ড কার, জানা যাবে রবিবার। তার আগে গোপন অস্ত্রে শান দিতেই রাখঢাক রেখেই অনুশীলন ইস্টবেঙ্গলের। তবু ফাঁক যেন থেকেই গেছে। ক্লোজড ডোর অনুশীলনেই স্টেডিয়ামের পাশে থাকা হোটেল থেকে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনের ভিডিয়ো রেকর্ড করতে দেখা গেল একজনকে। তা মোহনবাগানের লোক কিনা জানা যায়নি। ক্লাবের পক্ষ থেকে সেই ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়। বিনো জর্জ তার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘পুরোটাই নির্ভর করে স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের উপর’। না, বিপক্ষ দলের নাম কেউ নেননি। প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকে আসেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ বিনো জর্জ। না এসেছেন অস্কার ব্রুজো, না এসেছেন কোনও লাল হলুদ ফুটবলার। সকালে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সাড়ে লাল হলুদ ব্রিগেড। সে’সময়ই সাংবাদিক সম্মেলন করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আইএফএ তা আয়োজন করে দুপুরে। তাই পাঠানো হয় সহকারী কোচকে। অবশ্য শিল্ড শুরুর সাংবাদিক সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন বিনো জর্জ।
শনির ডার্বিতে প্রাক্তন ছাত্র রবসনই মাথাব্যথা ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর। রবসনের দৌড় থামাতে ছক সাজাচ্ছেন স্প্যানিশ কোচ। আবার তাঁর হাতে নতুন অস্ত্র হিরোশি। যাঁকে চেনেই না মোহনবাগান।বিনো বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। ওরা অন্যতম সেরা দল। সব বিভাগে ভাল প্লেয়ার আছে। তবে আমার মনে হয়, ইস্টবেঙ্গল সেরা দল। ২৯ বার শিল্ড জিতেছে। ৩০তম খেতাবের অপেক্ষায়। শুধু প্লেয়ারদের জন্য নয়, কোচদের জন্যও ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ডার্বি একটা আবেগ। প্রত্যেক ডার্বিতে আমরা জিততে চাই।’
এই ডার্বি জয়ের জন্য কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। তবে মোহনবাগান এসিএল-২-এর ম্যাচ খেলতে ইরান না যাওয়ায় সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। সে’কথা তুলেই বিনো বলেন, ‘কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তবে মাঠে ১১ জন খেলবে ১১ জনের বিরুদ্ধে। সবাই নিজের প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে থাকবে।’ জাতীয় দল থেকে ফুটবলাররা ফিরে আসায় একাদশ সাজাতে অবশ্য সমস্যা হবে না লাল হলুদ কোচের।