৬৭৩ রান, ৩২ উইকেট, ৮৪৭ বলে খেল খতম! পারথে আগুনে বোলিংয়ের সামনে অতিমানবীয় হেড
আগুনে ঘি ঢাললে যেমনটা হয়!৬৭৩ রান, ৩২ উইকেট, ৮৪৭ বল—পরিসংখ্যানটা পারথে দুই দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের। পারথের অ্যাশেজউত্তেজনা-আগুনে বোলিং-দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শেষে মাত্র দু’দিনেই ইংল্যান্ডকে 8 উইকেটে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া।প্রথম দিনের খেলা দেখে দ্বিতীয় দিনের খেলা অনুমান করাই শক্ত। অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজের ইতিহাসে দুই দিনের মধ্যে কেউ টেস্ট হারল ১০৪ বছর পর। ১৯২১ সালের মে মাসে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়া ২ দিনে জিতেছিল ১০ উইকেটে। এ বার অজিরা জিতল ৮ উইকেটে। নায়ক একজনই, তিনি ট্রাভিস হেড।
প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্কের দাপটে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৭২ রানে। জবাবে স্টোকসের বোলিংয়ে তোপের মুখে অস্ট্রেলিয়া ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়। ৪০ রানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ১৬৪ রান। ২০৫ রানের লক্ষ্যে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড করে ফেলেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। মাত্র ৬৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে হেড এদিন অ্যাশেজ ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম তিন অঙ্কের ইনিংস খেলার কীর্তি গড়েন। তার তাণ্ডব সামলানোর কোনো উপায় ছিল না ইংল্যান্ড বোলারদের। হেড একাই করেছেন ৮৩ বলে ১২৩। ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনেই ওপেনিংয়ে নেমে অতিমানবীয় পারফরমেন্সে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন ট্রাভিস হেড। অথচ এই টেস্টেই আগের তিন ইনিংসে ওপেনিং জুটি ভাঙে কোনও রান না করেই। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। প্রথম দিন ১৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত পতন হয়েছে ১১ উইকেটের। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন গাস অ্যাটকিনসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওলি পোপ। ২৮ রান করেছেন বেন ডাকেট। ৬ ব্যাটার পেরোতে পারেনি দুই অঙ্কের ঘর। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ড সর্বোচ্চ ৪টি, ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ডগেট।
পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনেই ওপেনিংয়ে নেমে অতিমানবীয় পারফরমেন্সে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন ট্রাভিস হেড। অথচ এই টেস্টেই আগের তিন ইনিংসে ওপেনিং জুটি ভাঙে কোনও রান না করেই। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। প্রথম দিন ১৯ উইকেটের পর দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত পতন হয়েছে ১১ উইকেটের। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন গাস অ্যাটকিনসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওলি পোপ। ২৮ রান করেছেন বেন ডাকেট। ৬ ব্যাটার পেরোতে পারেনি দুই অঙ্কের ঘর। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ড সর্বোচ্চ ৪টি, ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ডগেট।
