ক্ষমা চেয়ে নিলেন ঋষভ পন্থ, গম্ভীরকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই
সিরিজ জুড়েই ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন না ঋষভ পন্থ। ৪ ইনিংসে মোটে ৪৯ রান করেছেন, গড় মাত্র ১২.২৫। গুয়াহাটিতে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের পর পন্থের অধিনায়কত্ব ও ব্যাটিং-দু’টিই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তারওপর তাঁর নেতৃত্বেই গুয়াহাটি টেস্টে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। লজ্জাজনক হারের পর অবশ্য সমর্থকদের কাছে অকপটে ক্ষমা চেয়ে নিতে দ্বিধা করেননি পন্থ। সমাজ মাধ্যমে আবেগঘন বার্তায় অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। লিখেছেন, “এ কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে আমরা গত দুই সপ্তাহে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবসময় সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে চাই এবং কোটি কোটি ভারতীয়র মুখে হাসি ফোটাতে চাই।”

তিনি আরও লিখেছেন, “এইবার আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি বলে দুঃখিত। কিন্তু খেলা আমাদের শেখায়-শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং আরও উন্নতি করতে-দল হিসেবেও, ব্যক্তি হিসেবেও। ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমরা জানি এই দল কী করতে পারে, আরও কঠোর পরিশ্রম করে, আবার নিজেদের গুছিয়ে, মনোযোগী ও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। আপনাদের অটুট সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ!” শুধু এখানেই নয়, ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও পন্থ নিজের অসন্তোষ চেপে রাখেননি। তিনি হারের দায় স্বীকার করে বলেন, “এটা হতাশাজনক। দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।”

অন্যদিকে, গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে যেন চারিদিকে ক্ষোভ বাড়ছে। ৬৬ বছরে প্রথমবার ৭ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হার। ঘরের মাঠে পরপর হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। সমাজ মাধ্যমে কোচ সরাও আওয়াজও উঠেছে। তবে এত তাড়াতাড়ি গম্ভীরের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে না বিসিসিআই। বোর্ড সূত্রের খবর, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত গম্ভীরের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। ফলে এখনই তাঁকে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “হঠকারিতা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিসিসিআই। দল এখন রূপান্তরের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপ সামনেই। তাছাড়া ওঁর চুক্তি হয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই এখনই গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও কারণ নেই।”
