৯৯ রানে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যানকে ছুঁলেন হেড, চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়াই
তৃতীয় দিন হাসি মুখে মাঠ ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে অ্যাডিলেডে ম্যাচ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এরমধ্যেই এগিয়ে ৩৫৬ রানে। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে হেড একাই ১৪২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।৯৯ রানে গালিতে হ্যারি ব্রুকের হাত ফস্কে জীবন পান হেড। এরপর আর তিনি থামেননি। সেইসঙ্গে এলিট ক্লাবেও প্রবেশ করেছেন।অ্যাডিলেড ওভালে তাঁর টানা চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিও। আর একই ভেন্যুতে টানা চারটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে এলিট ক্লাবে প্রবেশ করে গেলেন বাঁ হাতি ব্যাটার।বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার একটি ভেন্যুতে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন হেড। এই তালিকায় তার আগে আছেন কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান, ইংল্যান্ডের স্যার ওয়ালি হ্যামন্ড, আর আধুনিক যুগের দুই তারকা মাইকেল ক্লার্ক ও স্টিভ স্মিথ। হ্যামন্ড ছাড়া বাকি সবাই অস্ট্রেলিয়ারই।
শুরুতে বেন স্টোকস ও জোফ্রা আর্চারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮৫ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করে ইংল্যান্ড। ৪৫ রানে অপরাজিত খেলতে নেমে স্টোকস ৮৩ রানে থামেন। এর কিছুক্ষণ পর আর্চার ১০৫ বলে ৫১ রান করে আউট হন। নবম উইকেটে তাদের জুটি ছিল ১০৬ রানের। অস্ট্রেলিয়ার ৩৭১ রানের জবাবে ২৮৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। প্যাট কামিন্স তিন উইকেট নিয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন করলেন।
জবাবে ওপেনিং করতে নেমে সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ১৯৬ বলে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। রের মাঠ অ্যাডিলেডে টানা চতুর্থ সেঞ্চুরি করে কেরিয়ার সর্বোচ্চ রানের (১৭৫) পথে ছুটছেন তিনি।হেড ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। তার আগে ওপেনিংয়ে ৮ রানে জেক ওয়েদারাল্ড (১) বিদায় নেওয়ার পর মার্নাস লাবুশেনেও (১৩) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উসমান খোয়াজার (৪০) সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন হেড। আপাতত হেড ও ক্যারির ইনিংসে ভর করে অ্যাডিলেড টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন অস্ট্রেলিয়ার হাতেই। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।
