‘পর্যটকদের জন্যেই আয়, বিনা দোষে স্থানীয়রা ভুগছেন’, বললেন মাস কয়েক আগে কাশ্মীর ফেরত শান্তিলাল
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: একটি হামলা কাণ্ড, যার জেরে থমকে গিয়েছে যেন গোটা দেশ। কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় হিন্দুদের নির্মম হত্যার দৃশ্য দেখে গা শিউরে উঠছে সকলের। ফুঁসছেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের মন কাঁদছে কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষদের জন্যেও। পর্যটকদের জন্যেই তো তাঁদের আয়। কাশ্মীর ভ্রমণ মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠলে স্থানীয় মানুষদের জীবিকা নির্বাহ হবে কীভাবে? প্রশ্ন অভিনেতার।
সম্প্রতি অরিন্দম ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘দুর্গাপুর জংশন’ ছবির প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছিলেন শান্তিলাল। কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করতেই পরিচালক ফিরে যান তাঁর কাশ্মীর ভ্রমণের স্মৃতিতে। জানান, মাস কয়েক আগেই কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি। অভিনেতা বলেন, “কাশ্মীরের স্থানীয়রা বলছিলেন, ‘আপনারা না এলে আমরা খেতে পারি না। আমাদের সংসার চলে না। আপনারা আসছেন, তাতেই আমারা দু’মুঠো অন্ন আমাদের বাচ্চাদের মুখে তুলে দিতে পারছি। আপনারা ফিরে গিয়ে বলুন, কাশ্মীর ভাল আছে। যাতে আরও মানুষেরা এখানে আসেন। কিছু মানুষের জন্য আমাদের সবার বদনাম হচ্ছে।’ আমি এই কথাগুলো তাঁদের মুখে শুনে এসেছি। যারা এই ঘটনাটা ঘটাল, তাদের হয় তো খাদ্যের অভাব নেই। কিন্তু কাশ্মীরের আপামর জনগন, যাঁরা পর্যটকদের ভরসাতেই বাঁচেন, তাঁদের কী হবে?”
অভিনেতার সংযোজন, “আমরা গুলমার্গে গিয়ে দেখেছি, পঁয়ষট্টি ঊর্ধ্ব মানুষ বড় বড় স্লেজ বরফের উপর ঠেলে রোজগার করছেন। একজন ভদ্রলোক সকাল থেকে ঘুরেও তেমন আয় করতে পারেননি। বিকেলের দিকে আমার কাছে এসে বললেন, ‘১০০ টাকা দেবেন, আমি স্লেজে ঘোরাব? শুরুতে সেটার জন্য দেড় হাজার টাকা দিতে হচ্ছিল। আমাকে বললেন মাত্র ১০০ টাকার বিনিময় ঘোরাবেন। আমি প্রশ্ন করলাম, ‘কেন সকাল থেকে তেমন উপার্জন হয়নি?’ বললেন, ‘এক পয়সাও রোজগার হয়নি। বাড়ির জন্য কী নিয়ে যাব? এখানে ১০ হাজার মানুষ থাকেন। ক’জন কাজ পান?’ আমি এটাই বলতে চাই যে যাঁরা স্বজনহারা হয়েছেন, তাঁদের দুঃখের শেষ নেই। কিন্তু কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষের অবস্থাটাও খুব শোচনীয়। বিনা দোষে তাঁরা ভুগছেন।”