সঙ্গীত যে আমার ‘জীবন’, সেটা অনেক পরে বুঝেছি: লোপামুদ্রা মিত্র
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: তাঁর গানের মতোই তাঁকে অনায়াসে বলে ফেলা যায়, ‘তোর মতন কেউ নেই…’, তিন দশকেরও বেশি সঙ্গীত জীবন তাঁর। বেড়ে ওঠাও গান-বাজনার মধ্যে দিয়েই। তথাকথিত ‘মিউজিক ডে’তে তেমন বিশ্বাসী না হলেও সঙ্গীতকে নিজের ‘জীবন’-এর থেকে কম কিছু মনে করেন না শিল্পী। তিনি আর কেউ নন, তিনি লোপামুদ্রা মিত্র।
ক্যালেন্ডারে আজ, শনিবার একটা বিশেষ দিন। ‘বিশ্ব সঙ্গীত দিবস’। যদিও গায়িকা লোপামুদ্রার বছরের প্রত্যেকটা দিনই সঙ্গীতকে ঘিরে। আলাদা করে কি তাঁর কাছে এই দিনটির তাৎপর্য নেই? আডিশনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গোটা পৃথিবী যখন মানছে এই দিনটিকে, তখন আমিও মানব। কিন্তু আমার আছে প্রতিটা দিনই ‘সঙ্গীত দিবস’। হয় তো এই দিন বিশেষ কিছু করলাম। অনুষ্ঠান হলেও মন্দ হয় না। কিন্তু সেই সবের বাইরে এটা আর পাঁচটা দিনের মতোই।”
দীর্ঘদিনের সঙ্গীতজীবন। ভালবাসা কুড়িয়েছেন অগুন্তি মানুষের থেকে। এই ‘সঙ্গীত’ লোপামুদ্রার কাছে আসলে কী? গায়িকার সোজাসাপটা জবাব, ‘জীবন’! তিনি বলেন, “জীবনের অপর নাম মিউজিক বা গান।” এতগুলো বছর পরও কিছু না-পাওয়া থেকে গেল কি? ফিরে দেখলে সবথেকে বেশি কোন বিষয়টি মনে পড়ে? প্রশ্ন করতেই গায়িকা ফিরে যান তাঁর ছোটবেলার বাড়িতে। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে গান-বাজনা চলতই। কিছু গান ছোটবেলা থেকেই শিকড়ের মতো ঢুকে গিয়েছে মননে। এই অধ্যাবসায় শুরু বাড়ি থেকেই। তখন যদিও সেই সব নিয়ে মাথা না ঘামালেও একটু বড় হওয়ার পর বুঝেছি গান আসলে কী, বা মিউজিক আমাকে কতটা ভাল রাখতে পারে। সঙ্গীত যে আমার জীবন, সেটা বুঝেছি পরে।”
কখনও কি মনে হয়েছে, ‘উদযাপন’-এর জৌলুসে ফিকে হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য? গায়িকার কথায়, “যে কোনও দিবসই এখন লোকদেখানো পালন করা হয়। ‘ফাদার্স ডে’, ‘মাদার্স ডে’ সবই এখন শো-অফের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই দিনগুলো আমার কাছে অর্থহীন।” তা হলে কি বর্তমানে সময়ের গানের অবস্থানও হতাশ করে তাঁকে? লোপামুদ্রার মতে, “ঠিক ‘হতাশ’ করে না। আলি আকবর খাঁ-সাহিবের কিছু কথা শুনছিলাম গতকালই। এমন বড় মাপের মানুষদের দিকে তাকালে আর হতাশা আসে না।”