কলেজের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণ, পুলিশি হেফাজতে তিন, উত্তাল রাজ্য

0




আরজি কর কাণ্ড এখনও দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে, এরমধ্যেই আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। খাস  দক্ষিনকলকাতায় কলেজের মধ্যেই এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তা নিয়ে গোটা দিন তুলকালাম পরিস্থিতি কসবা জুড়ে।পুলিশ সূত্রে জানাযায়  কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই এবার ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ।  অভিযোগকারিণীর অভিযোগ, ২৫ জুন রাত ৭.৩০ থেকে রাত দশটা পর্যন্তএর মধ্যে কলেজের একটি রুমের  ঘটনাটি,ঘটে। এরপর কসবা থানায় অভিযোগ জানান তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, এই গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। এরমধ্যে ধৃত মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তনী আর বাকি দুই জন ওই কলেজেরই পড়ুয়া। প্রথমে তালবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ অভিযুক্তকে। তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অভিযুক্তদের ‘জে’, ‘এম’ এবং ‘পি’ নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এরপর তাদের বয়ানের সূত্র ধরে,  মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে পয়লা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি ল কলেজে গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী ওই কলেজেরই ছাত্রী। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।ল কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সন্তোষ পান্ডে ও সাবার্বন ডিভিশনের ডিসি সাউথ বিদিশা কলিতা কলেজে গিয়ে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরে রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দল সেখানে যায়। জাতীয় মহিলা কমিশনও রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পরেই শহরের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। আরজি করের রেশ কেটেছে, নিরাপত্তা নিয়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করে্ছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরেই এমন কাণ্ড, যা নাড়িয়ে দিল ফের গোটা রাজ্যকে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *