‘পার্থক্যটা কোথায় বুঝতে পারছেন’? যুক্তি আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তের

0

স্পোর্টস ডেস্ক: কেন মাঠ বাজে? কেন বৃষ্টি হলেই ভেস্তে যাবে ফুটবল? কেন ঝাঁ চকচকে, পেশাদার পরিকাঠামো হবে না? কলকাতা লিগ শুরু হতেই একঝাঁক সমালোচনার ফাইল যেন খোলা হয়ে গেছে। এরমধ্যেই ঘৃতাহুতি পড়েছিল রেলওয়ের খেলোয়াড় তারক হেমব্রমের পায়ে চোট লাগতে তা হাতের কাছে পাওয়া ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে পাঠাতে। আইএফএ’কেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। সচিব অনির্বাণ দত্ত অবশ্য বিস্মিত আইএসএল-আইলিগের সঙ্গে কলকাতা লিগকেও সমমানের ভেবে তুলনা করায়। এক অনুষ্ঠানে এই নিয়ে আডিশনকে ক্ষোভ উগড়ে দেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। তিনি বলেন, সমালোচকরা সমালোচনা করবেই।আজ আইএসএলের পরিকাঠামোর সঙ্গে তুলনা চলছে কলকাতা লিগের। কিন্তু আইএসএলে খেলতে দলগুলোকে দিতে হয় ৬ কোটি টাকা। আই লিগেও খেলতে ৭ লাখ টাকার পাশাপাশি দিতে হয় সম্প্রচারের জন্য ১০ লাখ টাকা। এমনকি আই লিগ টু-তে খেলতেও দিতে হয় ২ লাখ টাকা। সে’জায়গায় কলকাতা লিগ খেলতে ক্লাবদলগুলো দেয় এক হাজার টাকা! পার্থক্যটা কোথায় বুঝতে পারছেন? সেইসঙ্গে আইএসএল, আই লিগে মেডিক্যাল ফেসিলিটি, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে নয় ক্লাবগুলোকে করতে হয়। যাদের হোম ম্যাচ তাদের ব্যবস্থা করতে হয়। কোনও কর্তৃপক্ষ দায় নেয় না। তবু আইএফএ নিজের উদ্যোগে ফুটবলারদের মেডিক্লেম করিয়ে দিয়েছে। আর দিয়েছে বলেই, তারক হেমব্রমের মতো ফুটবলার চোট পেলেও, শহরের সেরা হাসপাতালে চিকিত্সা পেয়েছে দ্রুত। এগুলোও কোনও ক্লাব দল করে না। করে আইএফএ’ই।

অনির্বাণ দত্ত আরও বলেছেন, ‘এই যে সন্তোষ ট্রফি খেলতে বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার ফুটবলাররা যায়, আইএফএ প্লেয়ারদের ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করে। মেডিক্যাল সাপোর্ট যা লাগে আইএফএ ব্যবস্থা করে। উল্লেখ্য, তারক হেমব্রমের চোট তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একদিন পরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তারক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনই আপাতত মাঠে নামতে পারবেন না বাংলার ফুটবলার। প্রায় দেড় মাস তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। গত সোমবার মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় মারাত্মক চোট পান তারক। মার্শাল কিস্কুর সঙ্গে সংঘর্ষে বাঁ-পায়ে গুরুতর আঘাত পান তারক।

যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন মাঠে শুয়ে। তাঁকে শুশ্রূষা করেন মোহনাবাগানের চিকিৎসক। এরপর দেখা যায়, তাঁর পায়ে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দুটো ছাতার সাপোর্ট দিয়ে। এর পর তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ছাতা-কাণ্ডের জেরে কলকাতা লিগের চরম অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ দেখা যায় সর্বত্র। এ’ব্যাপারে অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘ক্লাবগুলোরও একটা দায়িত্ব থাকে। ক্লাবগুলোকে বার বার বলা হয়েছে লাইসেন্সড ফিজিও রাখতে হবে ক্লাবগুলিকে। আজকে মাঠে কারও পা যদি ভেঙে যায় নিয়ম হল দুটো লাঠি দিয়ে, রডের টুকরো দিয়ে পা সাপোর্ট দেওয়া, যাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পায়ের হাড় না সরে যায়। সেদিন মাঠে যারা ছিলেন তাঁরা বাঁশ-রড নয়, দুটো ছাতা দিয়ে এই কাজটাই করেছেন। আপনি বলতে পারেন, ওটা দেখতে এত ভাল লাগে না। কিন্তু আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা বলেছেন একদম ঠিক করেছে’।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *