স্রষ্টার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ডন! সমাজমাধ্যমে আবেগপ্রবণ বার্তা অমিতাভ বচ্চনের
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ডন’। বলিউডে অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। এক ছবিতে একইসঙ্গে গ্যাংস্টার আর গ্রামের সহজ-সরল যুবকের ভূমিকায় চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এই ‘ডন’ যে কালজয়ী হয়ে উঠবে, তা হয়তো ছবির পরিচালক চন্দ্র বারোটও ভাবেননি প্রথমে। ছবিটি তখনকার বহু নামী অভিনেতারাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন—ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র থেকে দেব আনন্দ। অমিতাভ তখন চন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন একমাত্র।

চন্দ্র বারোট—পরিচালক, কিন্তু অমিতাভের কাছে তার থেকেও বেশি কিছু। দীর্ঘ দিন মনোজ কুমারের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন চন্দ্র। সেখানেই ‘রোটি কপড়া অউর মকান’ ছবির শুটিংয়ে পরিচয় অমিতাভ আর জিনাত আমনের সঙ্গে। বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এরপরেই ‘ডন’—যার জনপ্রিয়তা আজও অমলিন। ‘খাইকে পান বানারসওয়ালা’ থেকে ‘ডন কো পকড়না মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হায়…’—সবটা আজও রয়ে গিয়েছে দর্শকের স্মৃতিতে।

৮৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সেই মানুষটি, যাঁর হাত ধরে এক ক্লাসিক চরিত্রের জন্ম। মুম্বইয়ের বান্দ্রার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পালমোনারি ফাইব্রোসিসে ভুগছিলেন চন্দ্র। তাঁর চিকিৎসা চলছিল গুরু নানক ও জসলোক হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে।

চন্দ্রের মৃত্যু সংবাদ শুনে যেন নিজের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে হারানোর যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েছেন অমিতাভ। নিজের ব্লগে লিখেছেন, ‘আরও একটা খারাপ মুহূর্ত… আমরা কাজ করেছি ঠিকই, কিন্তু চন্দ্র আমার কাছে পরিবারেরই একজন ছিলেন। ওঁর জন্য শুধু প্রার্থনাই করতে পারি।’
‘ডন’ আজ কিংবদন্তি, নানা প্রজন্মে নতুন নতুন রূপে ফিরছে। শাহরুখ থেকে রণবীর, অনেকে হয়েছেন নতুন ‘ডন’। কিন্তু যিনি প্রথম সেই চরিত্রটিকে বড় পর্দায় গড়ে তুলেছিলেন, সেই চন্দ্র বারোট আর নেই—এই শূন্যতা শুধু একজন দক্ষ ছবির পরিচালক হারানোর নয়, অমিতাভ হারালেন তাঁর কাছের বন্ধুকে।