সুস্মিতার চাই বড় হিরে, রোহমানের ‘সাধ্য’ না থাকার কারণেই কি প্রেম ভেঙেছিল সুস্মিতার?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: রোহমান শল আর সুস্মিতা সেন—যেন এক টানাপোড়েনের সম্পর্কের গল্প, যেখানে প্রেম পেরিয়ে বন্ধুত্বই হয়ে ওঠে স্থায়ী ঠিকানা। ২০১৮ সালে ইনস্টাগ্রামে শুরু হয়েছিল যোগাযোগ। ডিরেক্ট মেসেজ থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম। তারপর অনেকটা পথ একসঙ্গে হাঁটলেন তাঁরা। তবে সেই পথ শেষ হয়েছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। বিচ্ছেদের কথা জানিয়েও সুস্মিতা লিখেছিলেন,’বন্ধু হয়ে শুরু, বন্ধুত্বেই থেকে যাবে।’
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রোহমান অকপট। জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কোনওদিন সুস্মিতাকে হিরে উপহার দিয়েছেন কি না। জবাবে বললেন, ‘ওঁর পছন্দের হিরে ২২ ক্যারাটের। ওটা কেনার মতো ক্ষমতা এখনও হয়নি। যেদিন হবে, ইনশাআল্লাহ্ কিনব।’ সরাসরি বললেন, ‘আমার আওকাত নেই।’
এই বক্তব্য ঘিরেই শুরু বিতর্ক। হিরে না দিতে পারা, না কি নিজের জায়গা থেকে সুস্মিতার উচ্চাশা মেলেনি—তর্ক চলতেই পারে। দু’জনেই এখন নিজেদের ‘সিঙ্গল’ বলেই দাবি করেন। তবুও যেভাবে রোহমান আজও সুস্মিতার পাশে থাকেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলিতে, সেটা কেবল প্রাক্তনের উপস্থিতি নয়—বরং একরকম পরিণত বন্ধুত্বের চিহ্ন।
এই বিতর্কের জেরে ফের ফিরে আসে ললিত মোদীর নাম। ২০২২-এ ছুটির ছবিতে একসঙ্গে ধরা, ‘বেটার হাফ’ দাবি করে পোস্ট—সব মিলিয়ে চর্চা চরমে। আর সেই সূত্র ধরেই ফের উঠেছিল সেই পুরনো অভিযোগ—সুস্মিতা কি শুধুই বিলাসের খোঁজে থাকা ‘গোল্ড ডিগার’? চারপাশে যখন তাঁকে ‘লোভী’, ‘সুবিধাবাদী’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখন সামনে এসে বলেছিলেন স্পষ্ট করে,’আমি বিয়ে করিনি। কোনও আংটিও পরিনি। আর যেটুকু হিরে আমার কাছে আছে, সবই নিজের টাকায় কেনা।’
তবে বিতর্ক শেষ হয়নি। ললিত মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে যত না চর্চা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি নজর গিয়েছিল তাঁর হিরের প্রতি পছন্দের দিকে। সুস্মিতা নিজেই আগে জানিয়েছিলেন, হিরে তাঁর খুব প্রিয়—তাও আবার সাধারণ কোনও হিরে নয়, বড়ো ক্যারাট, উজ্জ্বল, দামি।
ললিত মোদীর সেই সম্পর্কও বেশিদিন থাকেনি। ২০২৫ সালের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করেন, তিনি অন্য সম্পর্কে রয়েছেন। নেটিজেনরা এই সম্পর্ককে কেবলই ‘ইনফ্যাচুকেশন’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
তাই আবারও ফিরে আসে সেই প্রশ্ন—ভালবাসা কি সত্যিই নির্ভর করে হিরের ক্যারাটে? নাকি নির্ভর করে একজন নারীর স্বাধীন পছন্দ আর আত্মসম্মানে?