কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’! সেনার গুলিতে খতম ৩ জঙ্গি, রয়েছে কি পহেলগাঁও কাণ্ডের জঙ্গিরা?
একদিকে যখন লোকসভায় রাজনীতিবিদদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চর্চা চলল, তখন দেশের সেনাবাহিনী নিজেদের কাজে অটুট। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মাউন্ট মহাদেবের পাদদেশে
টানা অভিযান চালাল ‘অপারেশন মহাদেব’-এর। তাতেই নিকেশ তিন জঙ্গি। তার মধ্যে পহেলগাওঁ জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত পহেলগাঁও হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ সুলেমান মুসাও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি দু’জনের নাম, সূত্র বলছে, জিবরান ও হামজা আফগানি। যদিও সেনার তরফে এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। চলছে, দেহ শনাক্তকরণের কাজ।
ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু করেছে সোমবার। জম্মু-কাশ্মীরের লিডওয়াসেও অপারেশন শুরু করেছে চিনার কর্পস। একাধিক জায়গায় অপারেশন চলছে বলে সূত্রের খবর। গোপন সূত্রে খবর ছিল—লিডবাসের ঘন জঙ্গলে, জঙ্গিদের একটি দল আশেপাশেই কোথাও লুকিয়ে আছে। এরপরই মাউন্ট মহাদেবের পাদদেশে শুরু হয় জোরদার অভিযান। সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’। সেই সূত্রেই হানা, এবং প্রায় চার ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস পাওয়া গেছে, যা থেকে ‘সেফ হাউস’ এবং ‘পি-৩’ কোডগুলি সামনে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, এই কোডগুলি পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।
তবে এখানেই শেষ নয়। আরও দুই জঙ্গি আহত অবস্থায় পালিয়েছে বলে খবর, চলছে তাদের তল্লাশি। মিলেছে একাধিক অ্যাসল্ট রাইফেল, সেনার নজরে এসেছে একটি জঙ্গি ঘাঁটিরও হদিশ। ফলে এলাকা জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন পর্যটকের। ঘটনার তদন্তে নেমে কাশ্মীরের স্থানীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এই হামলায় যুক্ত ৩ লস্কর জঙ্গি যারা পাক নাগরিক। যদিও তদন্তকারী সংস্থা এখনও তাদের নাম প্রকাশ করেনি। জানানো হয়েছে উপযুক্ত সময়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। পহেলগাঁও হামলার ৯৬ দিন পর শুরু হওয়া অপারেশন মহাদেবের মাধ্যমে মুসাকে হত্যা করতে পারলে, তা উপযুক্ত প্রতিশোধ বলেই মনে করা হচ্ছে।