‘আপনার মতো মালব্য প্রতিভা…’, ভাষা বিতর্কে সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষলেন রাহুল
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই আলোচনায় রয়েছে ‘বাংলাদেশি ভাষা’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীন দিল্লি পুলিশ বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশের ভাষা’ বলে অভিহিত করেছে। বিতর্কের সূত্রপাত এখান থেকেই। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তো রয়েছেই, বিতর্কের আঁচ ছড়িয়েছে বিনোদন জগতেও। সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে উঠে এসেছে আরও একজনের নাম। তিনি সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলা ভাষাকে ঘিরে তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়েও কম বিতর্ক নেই নেটপাড়ায়।

সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘বেইমান গুলো। বাংলা ভাষাকে সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লেখেন, “‘পশ্চিমবঙ্গের বাংলা’ বললে যে এপার বাংলার সমস্ত আঞ্চলিক উপভাষাকে ধরেই বলা হচ্ছে তা এরা বোঝে না? আসলে নোংরামিটা আর ধরে রাখতে পারছে না। এত বছর এরা নানা ভাবে চেষ্টা করেছে আমাকে নিশ্চিহ্ন করার। পেরে ওঠেনি। এরা জানে যে আমার কথা মানুষের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। মানুষ নতুন করে ভাবে। এবং এরা এটাকে প্রচণ্ড ভয় পায়। সেই জন্যই আমি কিছু লিখলে আজকাল চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু হয়। এবং আমার ধারনা যত ভোট এগিয়ে আসবে, আমি যাতে কোন কথা না বলি তার জন্য আমাকে ভয়ঙ্কর হেনস্থা করার চেষ্টা করা হবে।”

এ বার লেখিকার বিরোধিতা করে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা নিয়ে অবান্তর বলেছেন এবং তার প্রতিবাদ হওয়ায় বলেছেন ‘বেইমান, আমি বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছি’…একজন সাহিত্যিকের এই ইতিহাস সম্পর্কে অচেতনতা/ভাষা সম্পর্কে অচেতনা আঘাত করে। পৌঁছে তখন দেবেন যখন বাংলা বিশ্বের দরবারে থাকবে না…জনৈক রবি ঠাকুর(বাকিদের নাম বললাম না,বড্ডো বেশি পড়েছি ভাষাটা) ওটার জন্য প্রবল খাটাখাটনি করেছিলেন, মানছি আপনার মতো মালব্য প্রতিভা তাঁর ছিল না। দ্বিতীয় কথা দিদি, আমরা লেখক বা অভিনেতা পাঠক/দর্শককে বেইমান বলতে পারি না। আমরা কারও উপর দয়া করি না যে তাদের ইমান এর উপর আমাদের হক থাকবে।”
