শাহরুখ বনাম সমীর ওয়াংখেড়ে পার্ট ২! ক্ষিপ্ত অফিসার ২ কোটি টাকার মামলা ঠুকলেন আরিয়ানের বিরুদ্ধে
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ‘দ্য ব্যা**ডস অফ বলিউড’–কে কেন্দ্র করে ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আরিয়ান খান এবং এনসিবি-র প্রাক্তন অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। এই সিরিজটি পরিচালনা করেছেন আরিয়ান। তবে সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার পরেই আইনি জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে শাহরুখ ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা।
ব্যাপারটা ঠিক কী? নেটফ্লিক্সের এই সিরিজটি দেখার পর সমীর ওয়াংখেড়ের অভিযোগ, সিরিজে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। শুধু তাঁকেই নয়, গোটা অ্যান্টি-ড্রাগ এজেন্সিকে কুৎসিতভাবে দেখানো হয়েছে। তাঁর দাবি, এই সিরিজ পরিকল্পনা করেই বানানো হয়েছে, উদ্দেশ্য—তাঁকে জনসমক্ষে হেয় করা। তাই আরিয়ান খানের পরিচালনা করা সিরিজের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট, মালিক শাহরুখ-গৌরী খান, সঙ্গে নেটফ্লিক্সকে এক ফাঁড়ায় ফেললেন ওয়াংখেড়ে।
দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে ২ কোটি টাকা। তবে শর্ত রেখেছেন—এই টাকা যাবে টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালের তহবিলে। সঙ্গে রয়েছে সিরিজটির সম্প্রচার বন্ধ করার আবেদনও। ওয়াংখেড়ের বক্তব্য, “এই সিরিজে এক চরিত্রকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে, তা সরাসরি আমার সঙ্গে মেলে যায়। এতে আদালতে চলমান মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে।”
বিতর্কের আসল রসদ মিলেছে এক দৃশ্যে। যেখানে এক অফিসার ‘সত্যমেব জয়তে’ বলার পর মাঝের আঙুল তোলে। ওয়াংখেড়ের দাবি, জাতীয় সম্মানের অপমানের শামিল এই দৃশ্য, যা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি, সব ক’টি ধারাই নাকি ভাঙা হয়েছে এই সিরিজে।
তবে তর্কের বাজারে রসিকতারও অভাব নেই। নেটপাড়া ইতিমধ্যেই হাসাহাসিতে মেতেছে—“ক্রুজ থেকে কোর্টরুম, এখন নেটফ্লিক্স—ওয়াংখেড়ের ক্যারিয়ার যেন বিনা মুল্যে সিরিজ হয়ে গেল!”
এর আগে ২০১৮ সালের ক্রুজ ড্রাগ মামলার ঘটনাকে দেখছেন। সেই সময়ে মুম্বইয়ে একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়েছিল এনসিবি। সেই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সয়ং সমীর ওয়াংখেড়ে। এই ঘটনার পর আরিয়ান খান এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হয় এবং আরিয়ান বেকসুর খালাস পান। এরপর সমীরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরেই তাঁকে এনসিবি-র ওই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুরনো দিনের কাদা ছোড়াছুড়ির সেই ঘটনার রেশ আজও যে শেষ হয়নি, এই মামলা তার অন্যতম প্রমাণ।
