ছোট পর্দায় ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’র চরিত্রে বাদ পড়েছিলেন, ছ’বছর আগের কথা রাখলেন রানা, আবেগী অলকানন্দা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। ছোটপর্দার একঝাঁক মুখ রয়েছে এই ছবিতে। একদিকে ‘লক্ষ্মীপ্রিয়া’র চরিত্রে নজর কেড়েছেন আরাত্রিকা মাইতি। অন্য দিকে ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’র চরিত্রে অলকানন্দা গুহও যেন অনবদ্য। তবে এর নেপথ্যের কাহিনি কিন্তু মোটেই সহজ নয়। অভিনেত্রীকে এক সময় অনেকটাই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সেই সব কিছুরই সাক্ষী ছিলেন প্রযোজক রানা সরকার।
ছোট পর্দায় ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’র চরিত্র থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। রানার হাত ধরেই আবারও পর্দায় ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ হয়ে ফিরলেন অলকানন্দা। তাও আবার বড় পর্দায়। ছ’বছর আগে কথা দিয়েছিলেন যে…সেই কথাই রাখলেন রানা সরকার। সমাজমাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী।
লিখলেন, ‘ধারাবাহিকে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমায়। কারণটা কোনওদিনই কেউ বলতে পারেনি। আজও সে কারণ অজানা। তবে, ছয় বছর আগে কথা দিয়েছিল রানা সরকার। বলেছিলেন, ‘বড় পর্দায় যদি কোনওদিন এই কেন্দ্রিক ছবি হয়, তবে সেখানে বিষ্ণুপ্রিয়া তুই হবি!”

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘কথা অনেকেই দেয়। তবে রাখে ক’জন? রানাদার সঙ্গে আমার সারা ক্ষণ ঝামেলা, ঝগড়া হয়ে থাকে। মাঝে-মধ্যে মুখ দেখাও বন্ধ। তবে এই কয়েক বছরে যাই হোক না কেন, একটা বিষয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম যে সে তার দেওয়া এই কথা থেকে সরে যাবে না। কারণ সে সেই সময় দেখেছিল আমি কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কী কী করিয়েছে কিছু লোকজন আমাকে দিয়ে। কতটা নোংরামো সহ্য করতে হয়েছে সবটা জানে। সে নিজেও জানে আমি তাকে ধন্যবাদ বলব না। এই পোস্টটা শুধু আমার সেই ছয় বছর আগের ‘ছোট্ট আমি’কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।’
আডিশনকে অভিনেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে ইতিমধ্যেই চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। একটু কি চিন্তা হচ্ছে? অলকানন্দা বলেন, “হালকা একটু তো হচ্ছেই। সৃজিতদার সঙ্গে কোনওদিন কাজ করিনি। খুব বড় একটা প্ল্যাটফর্ম। ছবিতেও কোনওদিন সেইভাবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাইনি। ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’র চরিত্রে আগেও অভিনয় করেছি। তবে এক্ষেত্রে একটু প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। লুক সেট হয়েছে। এখন পড়াশোনা চলছে।”