‘এই ছবিটা আমার মা ও সমস্ত মায়েদেরকে উৎসর্গ করলাম’, ‘ডিয়ার মা’র প্রিমিয়ারে মাকে পাশে নিয়ে জয়া

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: দীর্ঘ ১০ বছর পরে আবার বাংলা ছবিতে ফিরলেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী।প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল জয়া আহসান অভিনীত ‘ডিয়ার মা’। আর প্রিমিয়ারে মায়ের হাত ধরে এলেন অভিনেত্রী। ছবিটা তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর মা এবং পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের। জয়া উচ্ছ্বসিত তাঁর মাকে পাশে পেয়ে, বললেন, ‘মাকে নিয়ে প্রথমবার বাংলার কোনও প্রিমিয়ারে।’ টনি দা’র (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) সঙ্গে ১০ বছর পর কাজ করে তিনি আরও আনন্দিত।মা, এই ছোট্ট শব্দটির মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে এক অফুরন্ত শক্তি, যা একটি পরিবারকে ধরে রাখে, চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। সেই মায়ের অসীম ক্ষমতাকেই পর্দায় তুলে ধরেছেন জয়া।

পরিচালক এই ছবিতে ভালবাসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন—প্রেম, দায়িত্ববোধ, আর তার সঙ্গে মিশে আছে দত্তক গ্রহণের প্রেক্ষাপট।পরিচালক বলেছেন, এই ছবি মা-বাবার সঙ্গে এক দত্তক সন্তানের সম্পর্কের এক আবেগঘন যাত্রা। তাঁর মতে, ‘ডিয়ার মা’ কথাটি এক শিশুর বলা সবচেয়ে মর্মস্পর্শী দুটি শব্দ । ছবিটি ভালবাসার আসল মানে আর মায়ের জাদুর কথাই বলে।

পরিচালক এই ছবিতে জয়া আহসান ছাড়াও চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করেছেন। এই ছবিটি ১৮ই জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। দীর্ঘ এক দশক পর তিনি বাংলা ছবিতে ফিরলেন। তিনি জানান, ‘এই ছবিটা বাংলায় বানানো আমার কাছে খুব ব্যক্তিগত আর জরুরি ছিল।’ যদিও ছবিটি অন্য ভাষাতেও মুক্তি পাচ্ছে যাতে আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছনো যায়।

পরিচালক আরও বলেন, দত্তক গ্রহণ এই ছবির মূল বিষয় নয়, বরং এটি গল্পের একটি অংশ মাত্র। ছবিটিতে মা-সন্তান, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এবং জীবনের নানা সংবেদনশীল দিকগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর কথায়, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মার বন্ধন, রক্তের সম্পর্ক নয়। কারণ আত্মার টান রক্তের থেকেও গভীর হতে পারে।’ তিনি বিশ্বাস করেন, ছবিটি দেখার পর প্রতিটি দর্শকের চোখ আর্দ্র হবে। জয়া আহসান সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিচালক বলেন, ‘তিনি আমার দেখা অন্যতম সেরা অভিনেত্রী—সহজাত এবং চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *