অমিতাভকে বানিয়েছিলেন পর্দার ‘ডন’, সেই জন্মদাতা পরিচালকেই হারালেন বিগ বি!

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ‘ডন কো পকড়না মুশকিল হি নহি, না মুমকিন হায়…’—এই সংলাপ শুধু একটা ছবির নয়, একটানা সময়ের স্মৃতি। ১৯৭৮ সালে অমিতাভ বচ্চনকে ‘ডন’ বানিয়ে যিনি বলিউডের ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন, সেই পরিচালক চন্দ্র বারোট আর নেই।
সাত বছর ধরে ফুসফুসের জটিল রোগ পালমোনারি ফাইব্রোসিসে ভুগছিলেন তিনি। শেষমেশ থেমে গেল তাঁর লড়াই। প্রয়াণকালে বয়স হয়েছিল ৮৬। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী দীপা বারোট। তিনি বলেন, “গত সাত বছর ধরে ওঁর পালমোনারি ফাইব্রোসিস ছিল।”
চিকিৎসাধীন ছিলেন বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে, চিকিৎসক মনীশ শেট্টির তত্ত্বাবধানে। কিছুদিন আগে ভর্তি ছিলেন জসলোক হাসপাতালেও।
তবে এই কাল্ট ক্লাসিক ছবির পেছনে ছিল এক দীর্ঘ সংগ্রামের গল্প। ‘ডন’-এর জন্য প্রথমে প্রস্তাব গিয়েছিল দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্রদের কাছে। প্রত্যেকেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন ছিলেন একমাত্র ব্যতিক্রম, যিনি চরিত্রটির মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। সেলিম-জাভেদের চিত্রনাট্যে চন্দ্রের পরিচালনায় জন্ম নেয় ‘ডন’।

তানজ়ানিয়ায় জন্ম, বড় হওয়া। প্রথম জীবনে ব্যাঙ্কের চাকরি করতেন। পরে ভারতে ফিরে মনোজ কুমারের হাত ধরে সিনেমার জগতে পা রাখেন। ‘পূরব ঔর পশ্চিম’, ‘শোর’, ‘রোটি কাপড়া ঔর মকান’-এর মতো ছবিতে সহকারী পরিচালকের ভূমিকায় কাজ করেন তিনি।
‘ডন’-এর সাফল্যের পরে চন্দ্র বারোট পরিচালনা করেন বাংলা ছবি ‘আশ্রিতা’। যেখানে অভিনয় করেছিলেন মিঠু মুখোপাধ্যায় ও ‘বুনিয়াদ’-খ্যাত কানোয়ালজিৎ। বাংলা ভাষায় দক্ষ না হলেও, চন্দ্র যে মমতা নিয়ে সেই গল্প বলেছিলেন, তা বাঙালি দর্শকের মন ছুঁয়েছিল।
পরবর্তীতে ‘পেয়ার ভরা দিল’ মুক্তি পেলেও ‘বস’, ‘নিল কো পকড়না ইম্পসিবল’, ‘হংকং ওয়ালি স্ক্রিপ্ট’-এর মতো একাধিক প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।
চন্দ্রের প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বর্তমান ‘ডন’ পরিচালক ফারহান আখতারও। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন,“’অরিজিনাল ডন’-এর পরিচালক আর আমাদের মধ্যে নেই। এই খবর শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। চন্দ্র বারোটজিকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।”