“একটা হাসি যদি গিয়ার পাল্টাতে পারে…”, ‘খাদান বনাম সন্তান’ বিতর্কে দেব-শুভশ্রী
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: টলিউডের দুই ব্যস্ত মুখ। একজন রাজ চক্রবর্তী, অন্যজন দেব। পরিচালক-প্রযোজক রাজ। অভিনেতা-প্রযোজক দেব। দু’জনেই নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছেন পর্দার পাশাপাশি প্রযোজনার মাঠেও। তবে এ বার জলঘোলা হল তাঁদের দুটি ছবি নিয়ে। গত বছর দেবের ‘খাদান’ আর রাজের ‘সন্তান’ এক সময়ে মুক্তি পেয়েছিল। সেই সময় তাঁর ‘সন্তান সন্তান’ বলা নিয়ে শুরু হয় নতুন জল্পনা। নেটিজেনরা অভিযোগ করেছে, রাজ নিজের ছবির প্রচার করার মাধ্যমেই কথাও হয়তো ‘খাদান’কে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে রাজ স্পষ্ট জানান, “আমি কখনোই ‘খাদান’-এর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিনি। ন্যারেটিভটা এই ভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা সিনেমার সঙ্গে বাংলা সিনেমার লড়াই নয়, এটা বাংলা সিনেমার সঙ্গে অন্য ভাষার লড়াই।”
আসলে, পুরো আলোচনা ফের মাথা চাড়া দেয় সম্প্রতি ‘ধূমকেতু’র ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চে। দেব-শুভশ্রী একসঙ্গে—প্রায় দু’দশক পর। আর সেই রিইউনিয়নের মেজাজেই প্রশ্নটা ছুড়ে দেন সঞ্চালক রোহন ভট্টাচার্য, “একসঙ্গে ‘খাদান’ ও ‘সন্তান’ এসেছিল, তখন আমরা একটা ‘ফ্যান ওয়ার’ দেখেছিলাম, এগুলোকে কী ভাবে ডিল করো তোমরা? বা কী মনে হয় তোমাদের?”
দেবের দেরি ছিল না একটুও। সোজাসাপটা ভঙ্গিমায় দর্শক আর সঞ্চালককে জিজ্ঞেস করেন—তিনি অভিনয় করে উত্তর দেবেন, না সত্যি কথা বলবেন?
তারপরেই বলেন, “সন্তানও কোথাও মনে হয় আমারই ছবি। কারণ আমার মনে হয় এটা প্রমাণ হয়ে গেছে, আমার অভিনেতা হিসেবে যতটা অধিকারবোধ কাজ করে, প্রযোজক হিসেবে তা আরও বেশি।”
এই কথার মধ্যেই স্পষ্ট—প্রযোজনায় নিজের দখলদারিত্ব নিয়ে কোনও আপস করতে নারাজ দেব।
তারপর এক ধাক্কায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন সেই শুরুতে—
“আমি যখন প্রথম প্রোডাকশন হাউস খুলেছিলাম, আমি প্রথম ফোনটা রাজ চক্রবর্তীকে করি। আমার মনে হয়েছিল আমার প্রোডাকশন হাউস রাজ চক্রবর্তী ছাড়া চলবে না। এবং আমার প্রথম প্রোডাকশন যেটা ১০ বছর পর মুক্তি পাচ্ছে, তার প্রথম নায়িকা শুভশ্রী। কোথাও যেন ভাল লাগে, কিন্তু খারাপও লাগে মাঝে মাঝে যখন কেউ ‘সন্তান’, ‘সন্তান’, ‘সন্তান’ করে, কিন্তু পেছনে যে একটা হাসি ছিল, সেইটা আমাকে কষ্ট দিয়েছিল।”
এই কষ্ট থেকে জন্ম নেয় প্রতিক্রিয়া। দেব জানান, এরপর থেকেই সহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের ছবি ‘খাদান’-এর প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কারণ “গিয়ার-আপ করে তাঁকেও প্রমাণ দিতে হবে”।
আর ঠিক তখনই শুভশ্রীর গলায় মিষ্টি রসিকতার মাধ্যমেই হালকা খোঁচা, “একটা হাসি যদি গিয়ার পাল্টাতে পারে, তাহলে তো আর জবাব নেই!”