মাণ্ডবী নদীর তীরে পঞ্জাবকে ভাসিয়ে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, সুপার কাপ কি এ বার ঢুকবে?

0

মাণ্ডবী নদীর তীরে দ্বিতীয়বার সুপার কাপ জয়ের স্বপ্নটা উস্কে দিল অস্কার ব্রুজোর লাল হলুদ ব্রিগেড। ২০২৪ সালে কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ট্রফির খরা কেটেছিল ইস্টবেঙ্গলের, এ বার আবার ফাইনালে। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসিকে ৩-১ উড়িয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। গোল করলেন মহম্মদ রশিদ, কেভিন সিবিলে ও সল ক্রেসপো। পঞ্জাবের হয়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ড্যানিয়েল র্যামিরেজ। দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে একেবারে ঝকঝকে ফুটবলই উপহার দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। তবে অস্কার ব্রুজোর আচরণ নিয়ে কথা উঠতেই পারে। কারণ, লালকার্ড দেখে গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না লাল হলুদের হেডস্যার অস্কার ব্রুজো। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল সিবিলের গোলে এগিয়ে যেতেই চতুর্থ রেফারিকে অঙ্গভঙ্গি করেন কোচ। লাল কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। কারণ, আগেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন।তখনও সতর্ক হলে এই সমস্যা হত না।

ম্যাচে মাত্র ১২ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করেন প্যালেস্তাইন মিডফিল্ডার মহম্মদ রশিদ।৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পঞ্জাব এফসি ব্যবধান কমায়। গোল করে যান রামিরেজ। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল করেন কেভিন সিবিলে। বিরতির পর আক্রমণে চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৭১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় গোল করেন ক্রেসপো। তাই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায়।

২০১৮ সালে ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রথমবার ফাইনালে ওঠে। সে বার রানার্স আপ হয়ে অভিযান শেষ করেছিল। ফাইনাল ম্যাচে তারা বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে হেরে যায়। এরপর ২০২৪ সালে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে তারা এই টুর্নামেন্টের খেতাব জয় করে। গত সুপার কাপে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। আর এ বার তৃতীয়বার ফাইনালে। অস্কার ব্রুজোকে ছাড়া ট্রফি ঘরে তুলতে পারে কিনা তাই এখন দেখার।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *