সেই দেবজিৎ! গোল হজম দু’দুবার! বিদেশিহীন ডেম্পোর বিরুদ্ধে হোঁচট খেল ইস্টবেঙ্গল

কোচ আসে, কোচ যায়। পুরনো রোগ সারে না। গোয়ায় গাঁট থেকে যেন মুক্তি নেই। বিদেশিহীন ডেম্পোর বিরুদ্ধে শুরুতেই হোঁচট খেল লাল হলুদ ব্রিগেড। যেমনটা আই লিগের সময় দেখা যেত। যদিও সে’যুগের ডেম্পো আর এ’কালের ডেম্পোর আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবু ইস্টবেঙ্গল জয়ের মুখ দেখতে পারল না। সুপার কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ডেম্পোর বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করল অস্কার ব্রুজোর দল।
লাল হলুদ গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার কোচ অস্কার ব্রজোর মাথাব্যথা বাড়িয়েই দিলেন যেন। ২৭ মিনিটে মহম্মদ আলির গোলে এগিয়ে যায় ডেম্পো। বক্সে উড়ে আসা বল ফিস্ট করতে গিয়ে ফ্লাইট মিস করেন দেবজিৎ মজুমদার। বল জড়িয়ে যায় জালে। বিরতিতে ডেম্পো এই ১ গোলেই এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৩৩ সেকেন্ডের মধ্যেই সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। দূরপাল্লার শট নেন আহাদ। ডেম্পোর গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল সরাসরি চলে আসে নাওরেম মহেশ সিংয়ের কাছে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। ৫৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। লালচুননুঙ্গার দেওয়া বল থেকে বাঁ পায়ে জাল কাঁপান মিগুয়েল। মনে হয়েছিল, দুর্বল ডেম্পোর বিরুদ্ধে খারাপ খেললেও, জয় ছিনিয়েই আনবে অস্কার ব্রুজোর দল। কিন্তু সে’গুড়ে বালি। ৮৯ মিনিটে সমতা ফেরান ডেম্পোর মিডফিল্ডার লক্ষ্মীমানারাও রানে। এই গোলের ক্ষেত্রেও দায় এড়াতে পারবেন না দেবজিৎ। আইএফএ শিল্ড মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষদিকে গোলকিপার বদল নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। শনিবারও দলকে ডোবালেন দেবজিৎ। যদিও একা দেবজিৎ নন, প্রশ্ন উঠতে বাধ্য অস্কার ব্রুজোর স্ট্যাটেজি নিয়েও। কারণ, এবার দেবজিৎকে রেখেছিলেন একাদশে তিনি নিজে। আবার মিগুয়েলের মতো তারকাকে একাদশেই রাখেননি। জেতার খিদেই ছিল না লাল হলুদ ব্রিগেডের। ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করার পর নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে পরের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসি এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। সহজ দলের বিরুদ্ধে হোঁচট খেয়ে চাপটা নিজেই যেন বাড়িয়ে ফেললেন অস্কার ব্রুজো।
