ইতিহাস ইস্টবেঙ্গলের! সাফ উইমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জয়ে মশাল জ্বালল মেয়েরা

0

বিদেশের মাটিতে খেলা মানেই যেন জ্বলে ওঠে মশাল। সাফল্যের সরণীতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। পুরুষ দলের যখন হাহুতাশ, তখনই বর্ষশেষে আনন্দে ভাসিয়ে দিলেন লাল হলুদের মেয়েরা। নেপাল এপিএফ ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সাফ উইমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জিতে নিল কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের দল।এই প্রথমবার টুর্নামেন্টের আয়োজন, প্রথমবারই জয় ইস্টবেঙ্গলের।

এই একটা ট্রফি জয়ই শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অনন্য করে তুলল। ভারতের প্রথম ও একমাত্র ক্লাব হিসেবে পুরুষ ও মহিলা ফুটবলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নের তকমা একমাত্র ভারতের এই ক্লাবেরই। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে আয়োজিত হয়েছিল স্যান মিগুয়েল কাপ। সে’বার চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ ফুটবল দল। প্রায় ২১ বছর পর বছর শেষে সেই কাঠমাণ্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখল মেয়েরাও। নেপাল আর্মড পুলিশ ফোর্স উইমেন্স ফুটবল ক্লাবকে উড়িয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল।

শনিবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলে লাল হলুদের মেয়েরা। ২১ মিনিটে প্রথম গোলমুখ খোলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা তথা উগান্ডার স্ট্রাইকার ফাজিলা ইকওয়াপুট।৩৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন শিল্কি দেবী। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থেকেই স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দূরপাল্লার শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফাজিলা। তাতেই জয় স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নেপালের ক্লাব। গোটা টুর্নামেন্টে একটাও গোল হজম না করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। এর আগে ফাইনালে ওঠার পথে ভুটানের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে, পাকিস্তানের করাচি সিটিকে ২-০ গোলে ও বাংলাদেশের নাসরিন স্পোর্টস অ্যাকাডেমিকে ৭-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল।টুর্নামেন্টে মোট ৯টি গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেছেন ইস্টবেঙ্গলেরই ফাজিলা ইকওয়াপুট।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *