হাসপাতালে ‘দাদাগিরি’ কাঞ্চনের! ‘তাহলে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়াতাম না’, অভিযোগ উঠতেই সরব শ্রীময়ী
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: দিদার চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন। ধৈর্য ধরে লাইনে অপেক্ষাও করেন। তার পরেই চূড়ান্ত অপমানের শিকার হতে হয় শ্রীময়ী চট্টরাজ এবং কাঞ্চম মল্লিককে। কিন্তু কেন?
কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে গত বুধবার দিদাশাশুড়িকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী। সেখানেই বিপত্তি। অভিনেত্রীর অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনীতির মানুষ বলেই নাকি দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে অভিনেতা তথা বিধায়ককে। সেই সঙ্গে অভিনেত্রীকেও। এ দিন রাতে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন শ্রীময়ী।
সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োবার্তায় পুরো ঘটনা খোলসা করেন তিনি। শ্রীময়ী বলেন, “দিদা ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মে মাসে। আজকে আবারও চেকআপ ছিল। সেইজন্যই দিদাকে নিয়ে যাওয়া। চর্মরোগ বিভাগে দেখানোর পর ওখান থেকে বলল যেহেতু মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, তাই মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখাতে। কারণ দিদার হাইসুগার রয়েছে, ইনস্যুলিন নেন, তাই আগের দেওয়া ওষুধগুলো চলবে কিনা, সেটা জিজ্ঞেস করতেই গিয়েছিলাম। বলা হল, তিনজন রোগী দেখে আমার দিদার চেকআপ করা হবে। দিদা তখন হুইলচেয়ারে বসে। মধ্যিখানে আরেকজন রোগী ঢুকে গেলেন। ছোট প্যাসেজ হওয়ায় আমরা দিদাকে বের করে নিয়ে যাই। অপেক্ষার পর দিদার রিপোর্টগুলো নিয়ে উনি দেখলেন। এবং দেখেই রূঢ় ভাষায় জিজ্ঞেস করলেন- এটা তো চর্মরোগের বিষয়, মেডিসিন বিভাগে কেন এসেছেন? চেকআপ তো হয়ে গিয়েছে। আমি আর দেখে কী করব! আমি তখন বললাম, আপনাকে রেফার করেছে, তাই এলাম।” সেই সময়ে কাঞ্চন পাশ থেকে বলেন, “স্যর, একটু যদি প্রেশারটা চেক করে দেন। এতেই ওই ডাক্তার চটে গিয়ে পালটা বলেন- তাহলে আপনি ঠিক করে দিন, কী কী চেক করব? সুগার চেক করব না প্রেশার চেক করব! কাঞ্চন ‘সরি’ বলে বিষয়টা সেখানেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল। তবে এখানেই মেটেনি বিষয়টা। ওই চিকিৎসকের বোধহয় কোনও রাগ ছিল আমাদের উপর। প্রথম থেকেই রূঢ় আচরণ করে যাচ্ছিলেন।”
শ্রীময়ী আরও বলেন, “তার পর আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম শুধু- দিদার আগের ওষুধগুলোই চলবে কিনা। এটাই বোধহয় আমার অপরাধ! উনি ততোধিক চিৎকার করে আমাকে বললেন, আপনি এমবিবিএস পাস করা ডাক্তার? তাহলে চেয়ারে বসুন। এরপর ওঁর পাশে বসে থাকা অন্য আরেকজন চিকিৎসক আমাদের প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে কী কী টেস্ট করাতে হবে? সেগুলো বলে দেন। আড়াইটের সময় বন্ধ হয়ে যাবে বলে পরের দিন যেতে বলেন। এবার আমার প্রশ্ন, প্রভাবই যদি খাটাব, তাহলে দু’ টাকার টিকিট কেটে সবার মতো লাইন দিয়ে ট্রপিক্যালে দেখাব কেন? আমাদের যদি প্রভাব খাটাতে হত, তাহলে দিদা দশ দিন যখন ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালে, তখনই তো দেখাতে পারতাম। আমি তো ওদের প্রশংসা করে আগে একটা পোস্টও করি। আর যে ডাক্তারের কথা বলছি, উনি আমার দিদা ভর্তি থাকাকালীন একদিনই শুধু রাউন্ডে এসেছিলেন। আসলে সবজায়গায় কিছু মানুষ রাজনীতির রং দিতে ভালোবাসে।” অভিনেত্রীর সংযোজন, “আমরা কোনও দলবাজি করতে যাইনি। আমরা টিকিট কেটেই লাইনে অপেক্ষা করেছি। সবজায়গায় রাজনীতির রং লাগিয়ে দেওয়াটা জরুরি না। মানুষের আচরণটা আসল পরিচয়।”