আমাদের সবার মধ্যে মা দুর্গা আছেন, কবীর-কাব্যকে নিয়ে এই পুজো বেশি স্পেশ্যাল : কোয়েল

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: মহালয়ার ভোরেই কোয়েল মল্লিককে দেখা যাবে দেবী দুর্গার রূপে, স্টার জলসার ‘মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’য়। সম্প্রত্তি এক সাক্ষাৎকারে আডিশনের কাছে অভিনেত্রী জানালেন, এ নিয়ে তৃতীয়বার এই চরিত্রে পাঠ করছেন তিনি। তবুও আবেগ, উত্তেজনা কোনোটাই কম ছিল না। কোয়েলের কথায়, “এই কাজটা কখনও কাজ মনে হয় না। কারণ মা দুর্গার রূপটাই আলাদা। মনে হয়, সবার মধ্যেই মা দুর্গা রয়েছেন, আমার মধ্যেও আছেন। সেই অনুভূতিই আমাকে চালিয়ে নিয়ে যায়। তাই মহালয়ার শুটিং মানেই আনন্দ, আবেগ আর উত্তেজনা।”

নারীশক্তির প্রসঙ্গ উঠতেই কোয়েল বললে, “নারীশক্তি মানেই তো মা দুর্গা। সংসার, কাজ, বাইরের দায়িত্ব সব সমানভাবে সামলানোই আসল শক্তি। ভোরে উঠে সবার খবর তৈরি করা, ঘরের কাজ সেরে অফিস যাওয়া, কাজ থেকে ফিরে আবার সংসার সামলানো— প্রতিদিনই একেকজন নারী যেন দশভুজা। তাই আমার শুধু একটাই অনুরোধ, কেউ যেন ভুলে না যান যে আপনাদের সবার মধ্যেও মা দুর্গা আছেন। সেই শক্তি ভোলার নয়।”

কলকাতার মল্লিকবাড়ির পুজো এ বার শতবর্ষ পেরিয়ে ১০১-এ পা দিল। কোয়েল মানেই সেই বাড়ির কন্যে। পুজোর চার দিন বাড়ির বাইরে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এ বার পুজোর আবেগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কবীর আর কাব্য। ছোট্ট কাব্যর প্রথম পুজো, আর কবীর তো ইতিমধ্যেই বাড়ির পুজো নিয়ে বেশ উত্তেজিত। কোয়েল হেসে বললেন, “আমরা সবাই খুবই উত্তেজিত। এ বারটা অন্যরকম কারণ কবীর-কাব্য দু’জনকে নিয়েই এই আনন্দ। আমরা প্ল্যান করে রেখেছে কে কোন দিন কী পরবে। ওদের জামাকাপড়ের জন্য দৌড়োদৌড়ি করতে করতে নিজের ছোটবেলায় ফিরে যাই। তখন মনে পড়ে, মায়ের কাছে ফ্রক আবদার করার সেই দিনগুলি। ঠিক সেই মেজাজটাই আবার ফিরে আসে।”

গত বছর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল মল্লিকবাড়ির পুজো। তবে এ বছর আবার সবার জন্য খুলছে দরজা। কোয়েল-সহ পুরো পরিবার প্রস্তুত। দুর্গাপুজোর আবাহনে তাই একটাই প্রার্থনা তাঁর, আনন্দ, সুস্থতা আর একসঙ্গে থাকার খুশি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *