‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়তি শো…’ কুণালের নিশানায় ফের দেব! পাল্টা সরব প্রযোজক রানা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই মুক্তি। তার আগে জোরকদমে ছবির প্রচার চালাতে ব্যস্ত দেব। যদিও আরও এক কারণেও আলোচনায় রয়েছে তাঁর ‘রঘু ডাকাত’। ছবির প্রদর্শনের অতিরিক্ত সময়সূচীর জন্য একাধিক বার কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। কেউ বলেছেন ‘মাফিয়া কার্ড’ খেলছেন আবার কারও প্রশ্ন, ‘ছবি প্রদর্শনের জন্য এই ছবি বাড়তি শো পাচ্ছে কেন?’ এই প্রশ্ন আসলে কিছু দিন আগে তুলেছিলেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা কুণাল ঘোষ। তার পরেই তোলপাড় নেটপাড়া।
এই ঘটনার পর কেটে গিয়ে বেশ কিছু দিন। কুণাল ঘোষের ফেসবুকের পাতায় ফের একটি পোস্ট। তিনি লিখেছেন, ‘ যারা জানে তাদের এই সিনেমাটি দুর্বল, দক্ষিণী ছায়ায় বেখাপ্পা নাটক, বেশিদিন চলা অসম্ভব; তারাই প্রথমে শো বাড়িয়ে নিয়ে কিছু কালেকশন বাড়িয়ে রাখতে মরিয়া। এই প্রবণতা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করবে। চারটি ছবির লঞ্চিং প্ল্যাটফর্ম সমান হওয়া উচিত ছিল। তারপর দর্শকদের সাড়া দেখে হল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিতেন। স্রেফ নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়তি শোর অঙ্কটা হল। এক মাঘে শীত যাবে না। মুখে বাংলা ছবির কল্যাণের কথা, আর কাজে অন্য সব প্রভাব খাটিয়ে নিজের শো বাড়ানোর ব্যবসায়িক কৌশল, এটা সবাই বুঝছেন। আজ সবাই মানছেন বলে এই নয় যে কালও সবাই মানবেন।’ পোস্টে কারও নাম না উল্লেখ করলেও নেটিজেনদের অনুমান, পরোক্ষভাবে ফের দেবকেই নিশানা করেছেন তিনি।
বিষয়টি বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি প্রযোজক রানা সরকারকেও। সেই পোস্টের কমেন্টেই মন্তব্য রেখেছেন তিনি। পাল্টা লেখেন, ‘সিনেমা হল মালিকরা তো এনজিও চালায় তাদের ব্যবসার দরকার নেই, তাই তাদের মতামতের কোনও দাম নেই, তাদের প্রোডাক্ট পছন্দ করার সুযোগ নেই তাই না ? আপনি যেহেতু সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশন বিজনেস এত ভাল বোঝেন তাই পিয়া সেনগুপ্তকে সরিয়ে দিয়ে আপনি ইআইএমপিএ (EIMPA) প্রেসিডেন্ট হয়ে যান । তাহলে আপনার দর্শনে সবাই চলবে। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার ভোট আপনার পক্ষে পড়বে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসুন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসার এই ধাঁধা আপনি সমাধান করুন। এখন শুধু শুধু বাইরে থেকে এক পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলে নিজের সময় নষ্ট করছেন। কারণ কেউ আপনার কথা শুনছে না বা পাত্তা দিচ্ছে না (আমি ছাড়া)। তাই আসুন সরাসরি যুক্ত হন ফিল্ম ট্রেডে, তাহলে নিরপেক্ষ ভাবে সব পক্ষের কথা শোনার ও বোঝার সুযোগ পাবেন। আর কেউ আপনাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলারও সুযোগ পাবে না।” সবশেষে তাঁর এই প্রস্তাব খোলামনে গ্রহণ করার জন্যেও অনুরোধ করেন কুণালকে।