রোনাল্ডের দেশের ক্লাবের বিরুদ্ধেই মেসির গোলেমায়ামির প্রথম জয়
স্পোর্টস ডেস্ক: চতুর্থবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। যেখানে আগের তিনবারই তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বার্সেলোনার জার্সিতে। এবার অন্য জার্সি। নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই মেসি জ্বলে উঠলেন, মায়ামিও মায়া ছড়ালো। মেসি ম্যাজিকেই আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইন্টার মায়ামি। যা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফ্লোরিডার এই দলের প্রথম জয়ের স্বাদ। এই জয়ে দারুণ এক জাদুকরী গোল করেছেন মেসি। বাঁ পায়ের আইকনিক ফ্রি-কিকে তিনি মায়ামির জয়নির্ধারণী গোলটা করেন মেসিই।

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে লিওনেল মেসির রেকর্ড, শিরোপা কোনো কিছুরই তো অভাব নেই। ৩৮ ছুঁই ছুঁই মেসি এখনো আছেন দারুণ ছন্দে। গোল করে নিত্যনতুন মাইলফলক স্পর্শ করছেন। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ১৫ জুন আল আহলির বিপক্ষে গোল করলেই ইন্টার মায়ামির হয়ে ফিফটি করে ফেলতেন মেসি। কিন্তু সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় বেড়েছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের অপেক্ষা। এই নিয়ে মায়ামির জার্সিতে ৫০টি গোল করলেন মেসি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তাকে এমএলএসের ক্লাবটার হয়ে খেলতে হয়েছে মাত্র ৬১ ম্যাচ। সমান মাইলফলকে যেতে বার্সেলোনার হয়ে ১১৯ ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসিকে খেলতে হয়েছে ১০৭টি ম্যাচ।
পোর্তোর বিপক্ষে তখন ১-১ গোলের সমতায় মায়ামি। তখন ৫৩ মিনিট ফ্রি–কিক পায় মেসির দল। ছোট্ট ‘ডি’-র সামনে বসানো বলটা থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে মেসি যখন বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় অনেক দর্শকই হয়তো আন্দাজ করে নিয়েছিলেন, এরপর কী ঘটতে যাচ্ছে! দুই দশকের বেশি সময় ধরে এমন সব মুহূর্ত ও দৃশ্য তো তাঁদের পরিচিত। সেই চিরাচরিত বাঁ পায়ের কিক ও বলের ধনুকের মতো বাঁক নিয়ে জালে জড়িয়ে যাওয়া। এরপর সেলিব্রেশনের দৌড়। এই গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় মায়ামির জয়। এই জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের পরের ধাপে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল হলো ইন্টার মায়ামির। দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে মায়ামি। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে পালমেইরাস। পোর্তো তিনে ও আল আহলি চারে আছে।