আইসিসি হল অফ ফেমে ধোনি, সম্মান পেতেই পকেটমারের সঙ্গে তুলনা শাস্ত্রীর

আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এর অন্তর্ভুক্ত হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ধোনি হলেন ১১তম ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি এই সম্মান পেয়েছেন। এর আগে শচীন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে, সুনীল গাভাসকর, কপিল দেব, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, বিনু মানকড, ডায়ানা এডুলজি নীতু ডেভিড এবং বিষাণ সিং বেদী এই সম্মান পেয়েছেন। অবসরের প্রায় পাঁচ বছর পর এই সম্মান পেলেন ধোনি।২০২০ সালের ১৫ আগস্ট, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে, তিনি তাঁর অবসরের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। ১৬ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেরিয়ারে দেশকে একাধিক ট্রফি এনে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন কুল। বিশ্বকাপ, টি-২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পাশাপাশি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তিনি এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছেন দেশকে। ক্রিকেটে তাঁর অনবদ্য অবদানের পুরস্কার স্বরূপ আইসিসি-র এই সম্মান। আইসিসির বিশেষ সম্মান পেলেও লন্ডনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না ধোনি। পরে আইসিসির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানের। সর্বপ্রজন্মের, সবদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সকে স্বীকৃতি দেয় এই হল অফ ফেম। সর্বকালের সেরা এমন কিংবদন্তিদের নামের সঙ্গে আমার নামটাও স্মরণীয় হয়ে থাকবে, সেটা ভাবতেই অসাধারণ লাগছে। সারাজীবন এই সম্মানটা মনে রাখব।’ ধোনিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন যখন বিসিসিআই, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে নেটিজেনরা, তখন অদ্ভুত তুলনা টেনে সমাজ মাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। শাস্ত্রী ধোনির উইকেটকিপিং দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে পকেটমারের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, ‘ওর হাত একজন পকেটমারের থেকেও দ্রুত’। তিনি বলেন, ‘ভারতে যদি আপনি কোনও বড় ম্যাচে যান, বিশেষ করে আহমেদাবাদে, এবং আপনার পিছনে যদি ধোনি থাকে, তাহলে সাবধান! পকেট থেকে ওয়ালেট হাপিস হয়ে যেতে পারে’! আসলে, দ্রুততা এবং ক্ষিপ্রতার কথা বোঝাতেই পকেটমারের সুনিপুণ ছোঁয়ার সঙ্গেই তুলনা টানেন শাস্ত্রী। শাস্ত্রী আরও বলছেন, ‘ও শূন্য রানে আউট হোক বা বিশ্বকাপ জিতুক। একশো করুক বা দুশো করুক। ওর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’