‘আমার পরী আমার চারপাশেই আছে…’ স্স্মৃতিতে মুড়ে, শেফালিকে আগলে রেখেছেন পরাগ

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সারা বাড়ি জুড়ে শুধুই শেফালি জরিওয়ালা! স্ত্রীকে হারানোর যন্ত্রণা এভাবেই আঁকড়ে ধরেছেন পরাগ ত্যাগী। গত ২৭ জুন হঠাৎই প্রয়াত হন ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল। ৪২ বছর বয়সী অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে স্তব্ধ বলিউড। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর জীবনাবসান হয় বলে জানা গিয়েছে । শেফালীর স্বামী পরাগ ত্যাগী ও তাঁদের পোষ্য সিম্বার অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন অনুরাগীরা। কী ভাবে তাঁরা এই শোক সামলাচ্ছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই পরাগ সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম রিল শেয়ার করেছেন।

সম্প্রত্তি সমাজমাধ্যমে পরাগের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মুম্বইয়ের বাড়িতে শেফালীর স্মৃতিতে মোড়া প্রতিটি দেওয়াল। ছুটির দিনের ছবি থেকে শুরু করে তাঁদের বাগদানের মুহূর্ত, এমনকি পোষ্য সিম্বার সঙ্গে ফটোশুটের ছবি — বাড়ির প্রতিটি কোণায় এখন শুধুই শেফালীর উপস্থিতি ও ফ্রেমবন্দি সেই সব দিনের মুহূর্তগুলো । পরাগ তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘হয়তো তোমাকে আমার হাতে ধরে রাখতে পারব না, কিন্তু আমার মনে, আমার চোখে তুমি থাকবে প্রতি মুহূর্ত, প্রতি মিনিট আর প্রতিদিন।’

পরাগ আরও জানান, যারা তাঁদের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্যই এই রিল। এই কঠিন সময়ে কী ভাবে তাঁরা মানিয়ে নিচ্ছেন, তারই ঝলক দেখা গেল এই ভিডিওতে। পরাগের কথায়, ‘আমার পরী আমার চারপাশেই আছে। পরী আমার মনে, আমার নিঃশ্বাসে, আমার আত্মায়, আমার শরীরের প্রতিটি কোষের সঙ্গে জুড়ে আছে।’ তিনি অনুরাগীদের শেফালীর জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন।

শেফালীর প্রয়াণের পর দেখতে দেখতে প্রায় এক মাস কেটে গেল। তবে পরাগ কিছুতেই যেন এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে পুরোপুরি সামলে উঠতে পারছেন না। স্ত্রীর স্মৃতিতেই তিনি যেন ডুবে রয়েছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল জুড়ে শুধুই প্রয়াত স্ত্রীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের নানা ছবি আর আবেগঘন পোস্ট। শেফালীকে ছাড়া তাঁর প্রতিটি দিন কাটানো যে কতটা কষ্টকর, তা বারবার ফুটে উঠছে তাঁর লেখাগুলিতে। ভক্তরা এখন বরং পরাগকে নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন।পরাগের এই পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছে, তিনি শেফালীকে নিজের জীবনের প্রতিটি ছন্দে আগলে রাখতে চান। এই গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তিত।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *