ছেলের প্রথম পুজো, নিষাদকে নিয়ে মহাঅষ্টমীর অঞ্জলিতে বালিগঞ্জের পাড়ায় পরমব্রত–পিয়া

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: শারদীয়ার আগমন মানেই বাঙালির জীবনে এক নতুন সুর। তবে এ বার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর জীবনে পুজো এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক আনন্দ নিয়ে—তাঁদের সাড়ে তিন মাসের ছেলে নিষাদকে সঙ্গে নিয়ে। অভিনেতা বাবা হিসেবে এ বার তাঁর প্রথম পুজো। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন পরমব্রত ও পিয়া। এ বার প্রথম দুর্গাপুজোতে তাঁদের তিন থেকে চার হওয়া।

খুব কাছ থেকে সন্তানের বেড়ে ওঠার সাক্ষী থাকবেন বলেই অভিনেতা আগেই পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন। পিয়াও সেকথা বারবার জানিয়েছেন। আর সেই কথা যে অক্ষরে অক্ষরে রেখেছেন পরমব্রত, তার প্রমাণ মিলল এই পুজোয়।

চলতি বছরের জুন মাসে পরম-পিয়ার কোল আলো করে আসে তাঁদের পুত্রসন্তান। ভালো নাম নিষাদ হলেও, মায়ের কাছে সে আদরের ‘নডি’। সাত সুরের শেষ সুর ‘নিষাদ’ – এই নামের অর্থ নাকি ‘যাকে কোনও দুঃখ ছুঁতে পারে না’। সন্তানের বয়স যখন মাত্র সাড়ে তিন মাস, তখনই চতুর্থীর শুভ দিনে অনুরাগীদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন তারকা দম্পতি।

আর এরপর এল অষ্টমীর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সপরিবার নিজের শিকড়ে ফিরে গেলেন অভিনেতা। বালিগঞ্জ স্টেশন রোডের, পরমব্রতর মামার বাড়ির পাড়ায়, যেখানে তাঁর ছোটবেলা কেটেছে, সেই সহজ সাধারণ মিষ্টি পাড়ার পুজোতেই হল ‘নডি’র প্রথম আবির্ভাব। প্রতি বছর পুজোর এই দিনে তিনি এখানেই ফিরে যান।

অষ্টমীর সকালে চট্টোপাধ্যায় পরিবার সেজে উঠল হলুদে। বাবা পরম ও ছেলে নিষাদের পরনে ছিল হলুদ পাঞ্জাবি ও ধুতি, আর মা পিয়া সাদা-হলুদের লং ফ্রকে। ছোট্ট নিষাদকে কোলে নিয়ে মা দুর্গার প্রতিমার সামনে দাঁড়ালেন পরমব্রত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাগ করে তিনি লিখলেন, ‘একসঙ্গে আমাদের তিনজনের প্রথম মহাঅষ্টমী। মামার বাড়ির পাড়ায়… সহজ সাধারণ মিষ্টি পাড়ার পুজোয় নডিবাবুর এই বার প্রথম আসা।’

শুধু মামার বাড়ির পাড়ার পুজো দর্শনই নয়, প্রথমবার বাবা-মায়ের সঙ্গে অঞ্জলিও দিল খুদে নিষাদ। সন্তানের জন্মের মাস এবং বাবার জন্মদিন এক হওয়া – এই মিল যেন এক নতুন বুনন তৈরি করল পরম-পিয়ার জীবনে। নিষাদকে কোলে নিয়ে বাবা-মায়ের সেই হাসিমুখ, নতুন জীবনের আনন্দ আর শিকড়ের টানে ফেরা—এক লহমায় ছবিগুলি মন ছুঁয়ে গেল নেটপাড়ার।বলা চলে, এই বছর পরমপুত্রের সঙ্গেই পরম আনন্দ উদযাপন করল চট্টোপাধ্যায় পরিবার।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *