প্রয়াত জয়শ্রী দাশগুপ্ত, প্রবুদ্ধের স্মৃতিতে ‘পারমিতার একদিন’, শোকস্তব্ধ শ্রাবণী সেন
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: অপর্ণা সেনের ‘পারমিতার একদিন’ ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৃদয় আমার প্রকাশ হল’ গানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে ছিল যে কণ্ঠ, আজ তা-ই স্তব্ধ। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জয়শ্রী দাশগুপ্তের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীতমহল। গত শনিবার, প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
এমন একজন বড় মাপের শিল্পীর নিঃশব্দে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রবুদ্ধ রাহা। জয়শ্রী দাশগুপ্তের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিতে ভেসে উঠছে অপর্ণা সেনের ‘পারমিতার একদিন’-এর কথাই। সেই ছবির হাত ধরেই অপর্ণা সেনের সঙ্গে আলাপ প্রবুদ্ধ রাহার। ছবিতে ‘বিপুল তরঙ্গ’ গানটি গেয়েছিলেন প্রবুদ্ধ। জয়শ্রী দাশগুপ্তই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালকের সঙ্গে। গত শনিবার, ফোন করে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু সংবাদও জানান পরিচালক অপর্ণা সেন নিজেই।
প্রিয় মানুষকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিচালক। আডিশনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে অপর্ণা সেন জানান, মন ভাল নেই তাঁর।
এ দিন প্রবুব্ধ রাহার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। ফোনের ও পাশ থেকে তিনি বলেন, “জয়শ্রীদির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের আলাপ। ‘পারমিতার একদিন’ ছবির এক গানের জন্য যখন অপর্ণা সেন হন্যে হয়ে একজন মেল ভয়েস খুঁজছেন, তখন জয়শ্রীদি-ই আমার কথা বলেছিলেন।” তিনি জানান, তাঁকে ভ্রাতৃসম স্নেহ করতেন প্রয়াত শিল্পী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গীতজীবনে জয়শ্রীদির অবদান বিরাট। তিনি অপর্ণা সেনের সঙ্গে যোগাযোগ না করিয়ে দিলে আজ আমি যেখানেই আছি, সেখানে পৌঁছতেও হয়তো অনেক দেরি হয়ে যেত। ওঁর জন্যেই সারা পৃথিবীর লোক আমাকে চিনেছেন। এমন একজন মানুষ নিঃশব্দে চলে গেলেন, কেউ জানতেও পারলেন না।”
প্রবুদ্ধ রাহা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি অসুস্থতায় ভুগছিলেন গায়িকা। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও একই হতাশার সুর ধরা পড়ে তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “বহুবার ওঁর সান্নিধ্য লাভ করার সুযোগ পেয়েছি। জয়শ্রীদি এত ভাল একজন মানুষ ছিলেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যতবারই সাক্ষাৎ হয়েছে, কথা বলেছেন। কি অমায়িক ব্যবহার। আমি তাঁর থেকে অনেক ছোট বয়সে। কিন্তু সবসময় আমাকে সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন আরও ভাল কাজ করার জন্য। জয়শ্রীদির চলে যাওয়াটা দুঃখের। আর নিঃশব্দে চলে যাওয়াটা আরও বেশি দুঃখের।”