কেঁদেই ফেলেছিলেন প্রায় শুভমন, পেতে পারেন শাস্তিও, প্রশংসা সৌরভের

দুর্দান্ত খেলছিলেন।এগিয়ে যাচ্ছিলেন দেড়শো রানের দিকে। কিন্তু ১৪৭ রানে এসেই ছন্দপতন। শোয়েব বশিরের বলে আউট। দেড়শোর গণ্ডি না পেরিয়ে হতাশা চেপে রাখতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার পথে প্রায় কাঁদতেই দেখা যায় শুভমন গিলকে। মাঠ ছাড়ার সময় হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানায় হেডিংলির সমর্থকরা। সতীর্থরা উঠে দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানায়। সে’সময় ক্যামেরার লেন্সে অবশ্য চোখ ছলছল স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ড্রেসিংরুমে ফেরত যাওয়া শুভমন গিলের। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে আগেরদিনই নজির গড়েছিলেন।প্রথম বার এশিয়ার বাইরে টেস্টে সেঞ্চুরি শুভমনের ব্যাটে। তা অবশ্য আরও বড় হয়নি। তবে প্রয়োজনের সময় ক্যাপ্টেন্স নক সবায়েরই প্রশংসা পেয়েছে। তবে দুর্দান্ত ইনিংসের পাশাপাশি বিতর্কও হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। তবে পারফরম্যান্স নয়, পোশাকবিধি! আইসিসি’র ১৯.৪৫ নম্বর বিধি অনুসারে, টেস্ট ম্যাচে রংবেরঙের মোজা ব্যবহার করতে পারেন না ক্রিকেটাররা। টেস্ট ম্যাচে কেবল ‘সাদা, ক্রিম বা হালকা ধূসর’ রঙের মোজা পরারই অনুমতি রয়েছে। কিন্তু শুভমন গিল খেলেছেন কালো রঙের মোজা পরে। দোষী প্রমাণিত হলে পোশাকবিধি ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিও পেতে পারেন তিনি। তবে যাই হোক না কেন, খেলা দেখে সকলেই প্রশংসা করছেন শুভমনের। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ওর পায়ের মুভমেন্ট দেখে খুবই ভালো লাগল। বিদেশের মাটিতে যেটা কম দেখা যাচ্ছিল। দুর্দান্ত উন্নতি করেছে। দারুণ ফুটওয়ার্ক। কোনও ভুল করতে দেখিনি।’ শুভমন কি তাহলে সত্যিই বিরাটের উত্তরসূরী? এই প্রশ্নে সৌরভ বলেন, ‘বিরাট ক্লাস প্লেয়ার। ওর পরিবর্ত খুঁজতে সময় লাগবে। আমি শুভমনের খেলা দেখে অবাক নই। ভারতীয় ক্রিকেটে প্রচুর প্রতিভা আছে’। সৌরভ আরও বলেন, সৌরভ বলেন, ‘আমি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে কোনওদিন চিন্তিত ছিলাম না। কেউ না কেউ ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবেই। ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। চার-পাঁচজন অপেক্ষা করছে। সুযোগ পেলেই রান করবে।’