‘ডিম্বাণু সংরক্ষণের চেয়ে ঢেড় ভাল স্বাভাবিক মাতৃত্ব’, অকপটে মুখ খুললেন রাজকুমার ঘরনি

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বলিউডের প্রিয় জুটিদের মধ্যে রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা অন্যতম। বিয়ের চার বছর পর এই দুই তারকা জানিয়েছেন, তাঁদের জীবনে আসছে নতুন সদস্য। জুলাই মাসেই সুখবর জানিয়েছিলেন এই জুটি—শিগগিরই মা-বাবা হতে চলেছেন তাঁরা।

সম্প্রত্তি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের মাতৃত্বযাত্রা নিয়ে মুখ খুললেন পত্রলেখা। তাঁর কথায়, মা হওয়া এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। আনন্দ যেমন আছে, চ্যালেঞ্জও কম নয়। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে ডিম্বাণু সংরক্ষণের প্রসঙ্গও। তিন বছর আগে নিজেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজকুমারের স্ত্রী। তখন মনে হয়েছিল, ভবিষ্যতের জন্য সেটাই সঠিক পথ। কিন্তু বাস্তবে গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা তাঁকে অন্য রকম ভাবিয়েছে।

পত্রলেখা বললেন, “মা হওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং তা নিজে মা না হলে হয়তো বুঝতে পারতাম না। এই সফরটা যতটা আনন্দের, ঠিক ততটাই কঠিন।” মা হওয়ার এই সিদ্ধান্তটা আসলে দুইজনের। তিন বছর আগে পত্রলেখা এবং রাজকুমার রাও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যখন তাঁরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন, তখনই সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসবেন। সেই কারণেই তিন বছর ধরে ডিম্বাণু সঞ্চিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু মা হওয়ার প্রক্রিয়া যে এতটাই কঠিন হবে, তা তখন বোঝেননি পত্রলেখা।

পত্রলেখা বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবে মা হওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক সহজ। ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে গর্ববতী হওয়ার প্রক্রিয়াটা সত্যিই কঠিন। তাই ছোট বয়সেই যারা সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের স্বাভাবিক পথেই চেষ্টা করা উচিত।’’ এখানেই শেষ নয়, পরিবারও নাকি এই সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা নিয়েছে। অভিনেত্রীর মা সবসময় চাইতেন, তাঁর মেয়ে ও জামাইয়ের সন্তান আসুক।

বলিউডের আরও অনেক অভিনেত্রীর মতোই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন পত্রলেখা। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, শমিতা শেট্টি থেকে সোহা আলি খান—এই তালিকা দীর্ঘ। তবে তাঁদের থেকে আলাদা জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞতা খোলাখুলি ভাগ করে নিতে দ্বিধা করলেন না তিনি।

রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখার প্রেমকাহিনী শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। ‘সিটি লাইট’ ছবির শুটিং ফ্লোরেই একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁরা। এরপর একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন, কিন্তু বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুব ভেবেচিন্তে। সম্পর্কের গভীরতা বাড়লেও, তাঁরা সংসার শুরু করার জন্য অনেকটা সময় নিয়েছিলেন। এমনকি, অনেকেই জানতেন না তাঁদের সম্পর্কের কথা। রাজকুমারকে প্রথম দেখে ভাল লেগেছিল এক বিজ্ঞাপনে। তারপর ‘সিটি লাইট’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়া। সব শেষে, নিজেদের প্রেমের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন এই জুটি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *