‘বিয়ের দিন রাইটার্স বিল্ডিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল’, কারা কারা এসেছিলেন শতাব্দী রায়ের বিয়েতে?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: অভিনয় জীবন থেকে রাজনীতির ময়দান, দুই ক্ষেত্রেই নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয়তার ব্যপ্তির সঙ্গে যথার্থই মিলে যায় অভিনেত্রীর নামের অর্থ। তিনি আর কেউ নন, শতাব্দী রায়। দীর্ঘ দিন পর ‘বাৎসরিক’ ছবির হাত ধরে আবারও পর্দায় প্রত্যাবর্তন হল তাঁর। ছবির প্রচারের ফাঁকেই আডিশনের এডিটর দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদারকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ভিডিও সাক্ষাৎকারে আড্ডায় মাতলেন তিনি। প্রেম, বিয়ে থেকে সংসার, ছবির পাশাপাশি কথা হল ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও।
দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে পর্দায় ফিরলেও অভিনেত্রীর জনপ্রয়তা কিন্তু ফিকে হয়নি আজও। এক সময় প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় ছিলেন শতাব্দী। খ্যাতির প্রসার এতটাই যে তাঁর বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন তারকা তো বটেই, এমনকি বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও।
দেখতে দেখতে দাম্পত্যের ২৫ বছর পার। গত ১ মে স্বামী মৃগাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের ২৫ বছরে পা দিলেন শতাব্দী রায়। তবে এ দিনের এক মজার কাহিনিও বললেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, তাঁর বিয়ের দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাইটার্স বিল্ডিং! ভাবা যায়! কোন কোন নেতা মন্ত্রীরা এসেছিলেন শতাব্দী রায়ের বিয়েতে?
প্রশ্ন করতেই সেই পরিচিত একগাল হাসি। অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে সময় বিয়ে হয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী সব অনুষ্ঠানে যেতেন না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং জ্যোতি বসুর আমার বিয়েতে আসা একটা বিরাট বিষয় ছিল। বিশেষ করে জ্যোতি বাবুর আসা। ওই দিন প্রায় সকল নেতা-মন্ত্রীরাই এসেছিলেন। আমার বিয়ের দিন রাইটার্স বিল্ডিংই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দুপুর তিনটের পর থেকে সকলে মিলে আলোচনা করেছিলেন, শতাব্দী রায়ের বিয়েতে যেতে হবে! ওই দিন রাইটার্স বিল্ডিং ছুটি হয়ে যায়।”
এখানেই শেষ নয়, শতাব্দী রায়ের বিয়ের অনুষ্ঠান যে রাস্তায় হয়েছিল, সেই দিন ওই রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াতের জন্য। তিনি বলেন, “এত বিশিষ্ট মানুষজন এসেছিলেন। ওই রাস্তাটাকেই এক সময় বন্ধ করতে হয়েছিল। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তপন সিনহা- যাঁদের দেখা সাধারণত কারও বিয়েতে পাওয়া যেত না। তাঁরাও এসেছিলেন আমার বিয়েতে। ‘পি আর’ বা সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে আমি বরাবরই অপটু। তার পরেও এত ভালবাসা পেয়েছি, সেটাই আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ।”