রূপাঞ্জনা, শ্রাবন্তী থেকে বাবুল, দেব… একুশের মঞ্চে এ বার কারা কারা?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সকাল গড়িয়ে বিকেল —ধর্মতলার পথে ভিড়ের ঢেউ, রোদে পুড়ছে শহর, তবু কেউ থেমে নেই।২০২৬-এর ভোটের আগে শেষ ২১ জুলাই। ধর্মতলা দেখল আবারও তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শন, আর তারই সঙ্গে তারকাদের মিছিল। সকাল থেকেই শহরের রাস্তা ভর্তি বাস, পোস্টার, ঢাক, আর গলায় ঝুলন্ত পরিচয়পত্র। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক কর্মী নয়—নন্দনের সামনের খোলা চত্বরে টলিপাড়ার চেনা মুখেরা—পায়েল, সায়ন্তিকা, বনি, দেবলীনা, রিমঝিম, রুকমা—এক একজন এসে দাঁড়ালেন। সেখান থেকেই তৈরি হল ছোট্ট মিছিল, গন্তব্য ধর্মতলার মূল মঞ্চ।
অভিনেতা, পরিচালকেরা কেউ বাসে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে পৌঁছে গেলেন শহিদ মঞ্চের উদ্দেশে।প্রতি বছরের মতোই দেব এলেন, এ বার একেবারে বিদেশ সফর সেরে।
এ বছরের অন্যতম নজরকাড়া নাম শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র। এক সময় বিরোধী শিবিরে যাওয়া এই দুই মুখ এখন আবার তৃণমূলের মঞ্চে। শ্রাবন্তী এসেছিলেন গতবারও। এ বার যোগ দিলেন রূপাঞ্জনাও, ২০১৯-এ যিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন।
ইন্দ্রনীল সেন ডেকে নিলেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীকে। মঞ্চে পা রেখেই গেয়ে উঠলেন নচিকেতা—’যখন সময় থমকে দাঁড়ায়…’। পাশে দাঁড়িয়ে শ্রোতা হয়ে রইলেন সহকর্মী, সহযোদ্ধারা।
ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠতেই বললেন, ‘বাংলায় কথা বললেই যদি ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, আমাকেও নিয়ে যান। আমি বলব—বাঙালি এর উত্তর দেবে।’
ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, সায়নী ঘোষ, শতাব্দী রায়, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মৈত্র, অরিন্দম শীল, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, পায়েল, বনি, কৌশানী, রিমঝিম মিত্র, সোহেল দত্ত, তরিতা চট্টোপাধ্যায়, সৌমিতৃষা কুন্ডু, দেবলীনা কুমার, শ্রীতমা, সোমা চক্রবর্তী, সোনামণি সাহা—তালিকাটা যেন ফুরোয় না।
তৃণা সাহা বললেন, ‘শুটিং রোজ হয়, কিন্তু একুশে জুলাই তো রোজ আসে না। দিদি ডাকেন, মানে আগে এখানেই আসতে হবে। তারপর ক্যামেরা।’
তারকাদের এই জমায়েত শুধুই আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নয়—এ যেন এক বার্তা। ভোটের আগে দলের পাশে থাকা, দিদির পাশে দাঁড়ানো, ভাষার, সংস্কৃতির, পরিচয়ের সপক্ষে রুখে দাঁড়ানো।
নিরাপত্তা ছিল চূড়ান্ত। শহরের মাথার উপর হেলিকপ্টার, বহুতলে স্নাইপার নজরদারি।