‘অল্ট বালাজি’র সঙ্গে যুক্ত একতা কাপুর! নিষিদ্ধ অ্যাপ নিয়ে কী বললেন প্রযোজক?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের রমরমা তুঙ্গে, ঠিক তখনই এক কঠোর পদক্ষেপ করল সরকার। অহেতুক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ বিষয়বস্তু পরিবেশনের অভিযোগে ‘উল্লু’, ‘বিগ শট অ্যাপ’ এবং ‘অল্ট বালাজি’-সহ মোট ২৫টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ পেতেই বিনোদন জগতে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।

এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ‘অল্ট বালাজি’র নাম আসতেই বিতর্কের মুখে পড়েন প্রযোজক একতা কাপুর। কারণ, একসময় এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তাঁর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তবে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন একতা কাপুর। তিনি জানিয়েছেন, এই অ্যাপের সঙ্গে তাঁর বা তাঁর মা শোভা কাপুরের এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই। একতা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, মিডিয়াতে অল্ট বন্ধের খবর ছড়ালেও, একতা কাপুর এবং শোভা কাপুর ‘অল্ট বালাজি’র সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। ২০২১ সালের জুন মাসেই তাঁরা ‘অল্ট বালাজি’ থেকে সরে এসেছেন।

একতা আরও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিএসই’ এবং ‘এনএসই’-তে তালিকাভুক্ত ‘বালাজি টেলিফিল্মস লিমিটেড’ একটি পেশাদারী মিডিয়া সংস্থা। ‘অল্ট ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড’ (যা পূর্বে তাদের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা ছিল) এর সাম্প্রতিক একীকরণ মাননীয় এনসিএলটি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে এবং এটি ২০২৫ সালের ২০ জুন থেকে অল্ট পরিচালনা করবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, এর সঙ্গে তাঁদের বর্তমান কোনও যোগসূত্র নেই।

সরকারের এই পদক্ষেপের কারণ স্পষ্ট। ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক স্বরাষ্ট্র’, ‘নারী ও শিশু উন্নয়ন’, ‘ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি’ এবং ‘আইন মন্ত্রকের’ সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘উল্লু’, ‘অল্ট বালাজি’, ‘দেশিফ্লিক্স’, ‘বুমএক্স’, ‘নবরসা লাইট’, ‘গুলাব অ্যাপ’, ‘কঙ্গন অ্যাপ’, ‘বুল অ্যাপ’, ‘জলওয়া অ্যাপ’, ‘শো-হিট’, ‘ওয়াও এন্টারটেইনমেন্ট’, ‘লুক এন্টারটেইনমেন্ট’, ‘হিটপ্রাইম’, ‘ফেনেয়ো’, ‘শো-এক্স’, ‘সোল টকিজ’, ‘আড্ডা টিভি’, ‘হটএক্স ভিআইপি’, ‘হলচল অ্যাপ’, ‘মুডেক্স’, ‘নিওনেক্স ভিআইপি’, ‘ফুজি’, ‘মোজিফ্লিক্স’ এবং ‘ট্রিফ্লিক্সের’ মতো প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে অহেতুক অশ্লীল, অশালীন এবং কিছু ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তু প্রদর্শনের অভিযোগ ছিল। এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ দৃশ্য, দীর্ঘ যৌনতাপূর্ণ দৃশ্য যা কোনও কাহিনী বা সামাজিক বার্তা ছাড়াই প্রদর্শিত হচ্ছিল, সেগুলির বিরুদ্ধে ‘জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন’ (NCPCR) এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে সতর্ক করা হলেও তাঁরা বিষয়বস্তু পরিবর্তন করেনি। তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০ এবং আইটি বিধিমালা, ২০২১ এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট এবং অ্যাপগুলির অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *