গ্ল্যামারের আলো থেকে অন্ধকারে, মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার অভিনেত্রী
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সুমি হর চৌধুরী! ছোট পর্দার পরিচিত মুখ তিনি। বহু ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে অসংখ্য দর্শকের। তবে বহু দিন হয়ে গিয়েছে তাঁর আর কাজ নেই। ২০২৩ সালে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল স্টার জলসার ‘তুমি আসেপাশে থাকলে’ ধারাবাহিকে। এছাড়া সান বাংলায় ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে আজ তিনি রাস্তায়। একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে জন্য গেছে পূর্ব বর্ধমান থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছ তাঁকে। এদিন পূর্ব বর্ধমানের খন্ড ঘোষ ব্লকের আমিনা বাজারে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে এই মহিলাকে। সেখানে বৃষ্টির কারণে তিনি আশ্রয় নেন এক ছাউনির তলায়। স্থানীয় মানুষরা তিনি কী করেন প্রশ্ন করায় সুমি বলেন , ” আমি অভিনয় করি”। প্রথম দেখায় তাঁকে চেনা না গেলেও পরে পরিচয় জানতে পারেন সকলেই।

সুমির সমাজমাধ্যম ঘেঁটে দেখতেই পরিষ্কার হয়ে যায় তিনি বহু ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। বাংলার পাশাপাশি সাবলীল ভাবে ইংরেজিতেও কথা বলেছেন অভিনেত্রী। তাঁর পরিবার নিয়ে অবশ্য তিনি মুখ খুলতে চাননি। সুমিকে প্রশ্ন করায় তিনি জানান, তাঁর বাড়ি বেহালায় যদিও অনেকদিন আগেই তিনি সেই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবারে এই মুহূর্তে কে কে রয়েছেন সেটাও তিনি ঠিক মত জানেন না। তাঁর দাবি, মাটির টানেই তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
বোলপুর থেকে বর্ধমানে এখন এসেছে। সুমির হাতে ছিল একটা ডাইরি। যেখানে একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল বলে সূত্রের খবর। সেই নম্বরেই স্থানীয়রা ফোন করেন এবং জানতে পারেন তিনি বোলপুরের হোস্টেলে থাকতেন। যদিও আসল বাড়ি কলকাতায়। বেহালায় থাকতেন তিনি। সম্প্রতি, অভিনেত্রীকে সেখান থেকে পূর্ব বর্ধমানের একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাকে নিয়মিত দর্শকরা টিভির পর্দায় দেখতেন, তাঁর জীবনের এমন পরিণতি হওয়ার কারণ কি শুধুই মাটির টান? নাকি আড়ালে রয়েছে কোনও অজানা গল্প? গ্ল্যামারের আলোর ছটার পেছনেও যে এমন কত অন্ধকার-এর গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সেটা ক’জনই বা জানতে পারেন।