আর্জেন্টিনার কাছে চার গোল হজম ব্রাজিলের, সেলেকাওদের দুঃস্বপ্নে স্বপ্ন সফল আলবিসেলেস্তেদের

0

এবার ব্রাজিলকে একরাশ লজ্জায় ডোবাল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দ্বৈরথের ইতিহাসে যোগ হলো আরেকটি অবিস্মরণীয় রাত। দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মহারণে ৪-১ গোলে সেলেকাওকে উড়িয়ে দিল স্কালোনির দল। জুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও জুলিয়ানো সিমিওনের দুর্দান্ত গোলের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ ব্রাজিলের। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যাথুস কুনহা। মনুমেন্টালের রঙিন রাতেই নিশ্চিত হলো আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। এখন পর্যন্ত ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ছয় দল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো—এই তিন দল আয়োজক সূত্রে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিলো জাপান, দ্বিতীয় দল ছিল নিউজিল্যান্ড।  তাদের পরে নাম লেখাল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।


শুরু থেকেই ব্রাজিলের রক্ষণদুর্গ কাঁপাতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ৪ মিনিটের মধ্যে প্রথম জাল ভেদ করেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ব্রাজিল হজম করে আরও এক গোল। ১২ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন এনজো ফার্নান্দেজ। জোড়া গোল হজম করা ব্রাজিল দ্রুতই ব্যবধান কমিয়েছে। আর্জেন্টাইন এক ডিফেন্ডারের ভুলে ২৬ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ম্যাথুস কুনহা।

ব্যবধান কমানোর পর ফের গোল হজম করে ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে আর্জেন্টিনা শেষ করে।দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের জালে বারবার হানা দিতে থাকে আলবিসেলেস্তেরা। গোলসংখ্যা বাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ৭১ মিনিটে গোলটা করেন জুলিয়ানো সিমিওনে।
বিশ্বকাপ বাছাই লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ১৪ ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩১। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ইকুয়েডর এবং ২১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে উরুগুয়ে। লাতিন থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে ৬ দল। সাত নম্বরে থাকা ভেনেজুয়েলার চেয়ে ১৬ পয়েন্ট এগিয়ে আর্জেন্টিনা। রাউন্ড বাকি আছে আর মাত্র ৪টি। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারের পর এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ন্যূনতম ৪ গোল হজম করল ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকান কোনো দলের বিপক্ষে চার গোল হজম করল ১৯৮৭ কোপা আমেরিকার পর।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *