৩ বছরেও গ্রিন সিগন্যাল পায়নি ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’! আদৌ কি মুক্তি পাবে, কী বললেন অভিনেতা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ২০২২ সাল থেকে অপেক্ষার শুরু। সেই যখন অনুষ্কা শর্মা শুটিং করতে এসেছিলেন কলকাতায়। এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেছে। বাইশ গজের গল্প, মেয়েদের ক্রিকেটের অগ্রদূত ঝুলন গোস্বামীর জীবন নিয়ে তৈরি হওয়া ছবি ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ এখনও গ্রিন সিগন্যাল পেল না। দেখা যায়নি সিনেপর্দায়। সময় যত এগিয়েছে তত পিছিয়েছে এই ছবি মুক্তি। কেন মুক্তি পারছে না, কেউ জানেন না।
গত বছরই গুঞ্জন ওঠে, নেটফ্লিক্স ও ক্লিন স্লেট ফিল্মজ-এর চুক্তি নাকি বাতিল হয়েছে। এর জেরে সিনেমার মুক্তি নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। যদিও প্রযোজনা সংস্থার তরফে একসময় জানানো হয়েছিল, ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ আসছে নেটফ্লিক্সেই। এই ছবি দিয়ে বড়পর্দায় কামব্যাক করার কথা ছিল অনুষ্কা শর্মার। প্রযোজক ছিলেন তাঁর ভাই কর্ণেশ শর্মা, প্রযোজনা সংস্থা ক্লিন স্লেট ফিল্মজ। কিন্তু ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে ক্লিন স্লেটের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে ছবির ভবিষ্যৎ। গত বছরই এই পার্টনারশিপ ভেঙে যাওয়ায় ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’- সহ বেশ কিছু প্রোজেক্ট থমকে গেছে। অনুষ্কা শর্মার ভাই কর্ণেশ শর্মার প্রযোজনা সংস্থা ক্লিন স্লেট ফিল্মস নাকি নেটফ্লিক্স থেকে ছবির স্বত্ব ফিরিয়ে নিয়ে অন্য কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির কথা ভাবছে, তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।ফলে, হতাশাই বেড়েছে সিনেপ্রেমীদের।
এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই মুখ খুলেছেন ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রাভিনেতা দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। ছবিতে অনুষ্কার কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন ক্ষোভের কথা। পরিষ্কারই জানিয়েছেন, তিনিও জানেন না এই ছবির ভবিষ্যৎ কী। তিনি বলেন, ‘আমিও সকল দর্শকের মতোই এই ছবির মুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছি। এই ছবির জন্য অনুষ্কা যে পরিশ্রম করেছে, সেটা চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না।’ ছবির অসম্পূর্ণ ভার্সন দেখে দিব্যেন্দু মুগ্ধ। তিনি বলেন, ‘এটা অনুষ্কার সেরা অভিনয়, এটা সম্ভবত ওর কেরিয়ারের এখনও পর্যন্ত সেরা পারফরম্যান্স।’ কিন্তু ঠিক কোথায় ছবিটা আটকে আছে, সেই উত্তর তাঁর কাছেও নেই। ছবি এত দেরিতে মুক্তি নিয়ে এরমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে ঝুলন গোস্বামী তখন কতটা প্রাসঙ্গিক থাকবেন? এই নিয়ে অভিনেতা দিব্যেন্দু বলেন, ‘কিছু ছবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তি না পেলে তার গুরুত্ব হারায়। আমাদের ছবি সেই ধারায় পড়ে না। কিন্তু ঝুলন গোস্বামী তখনও কত প্রাসঙ্গিক থাকবেন সেটাই প্রশ্ন।’ ‘জিরো’ ছবির পর অনুষ্কার এই ছবি দিয়েই বড়পর্দায় ফেরার কথা ছিল। অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কবে এই রহস্যের জট খুলবে ও কবে মুক্তি পাবে ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’।