আড়াই মাসে ২৫ কেজি ঝরানো! প্রথম ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের…’ জন্য কী কী বলিদান দিব্যজ্যোতির?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি অথবা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে অনেক কসরত করেই নিজেদের সুঠাম পেশিবহুল চেহারা তৈরি করে থাকেন পর্দার নায়কেরা। অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত-ও করেছিলেন এমনটাই। তবে সেই সবকিছুই এই মুহূর্তে অতীত! বর্তমানে তাঁকে দর্শক দেখছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে। পর্দার ‘সূর্য’র কিন্তু অনুরাগী সংখ্যাও কম নয়। এ বার ছোট পর্দার গণ্ডি ছাড়িয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে চলেছেন অভিনেতা।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে চৈতন্যের চরিত্রে দেখা যাবে দিব্যজ্যোতিকে। আর সেই কারণেই পেশিবহুল চেহারাকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাঁকে। মেদ ঝরিয়ে একেবারে ছিপছিপে গড়নে আসতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি অভিনেতাকে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিব্যজ্যোতি জানান, মাত্র আড়াই মাসে ২৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি! কী ভাবে সম্ভব হয়েছে সবটা?

অভিনেতা বলেন, “আড়াই মাস আগে আমার ওজন ছিল ১০১ কেজি। কথা দিয়েছিলাম, এই কয়েক দিনের মধ্যেই নিজেকে একেবারে বদলে ফেলব। আমি ২৫ কেজি কমিয়েছি। এখন ৭৬ কেজি ওজন আমার। প্রতিদিন ২৫০০ ক্যালোরির খাওয়ার খেতাম। এখন আমি সারাদিনে এক বেলা খাই। বাকি সময়টা তরল জাতীয় খাবারের উপরেই ভরসা। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও চলছে। তবে আমার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার পেশির মেদ ঝরানো। পেশিবহুল চেহারা বানাতে অনেকটা সময় লেগেছিল। সেটা কমাতে অনেককিছুর বলিদান দিতে হয়েছে আমাকে। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এখন ঝরিয়ে নিই, পরে আবার হয়ে যাবে।”

চলতি মাসেই শুরু হবে ছবির শুটিং। বোঝাই যাচ্ছে। তার আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অভিনেতার। তিনি বলেন, “চরিত্রের স্বার্থেই আমাকে এটা করতে হয়েছে। ছবিতে আমাকে আরও ছিপছিপে চেহারায় দেখা যাবে। এই চরিত্রটা মোটেই সহজ নয়। নিজেকে ওর মতো করে গড়ে তোলার থেকেও বড় বিষয় হল চরিত্রটিকে নিয়ে ভাল করে পড়াশোনা করা। চৈতন্যের দৃষ্টিকোণ দিয়ে দুনিয়াটাকে উপলব্ধি করা মোটেই সহজ কথা নয়। আমি জানি না কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারব। কিন্তু আমি সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব।” অভিনেতা জানান, প্রথম ছবি নিয়ে বেশ উত্তেজিত তিনি। মজা করে বলেন, “মাঝে মাঝে কথা বলতে গিয়েই খেই হারিয়ে ফেলছি। নিজেই জানি ভেতরে ভেতরে কতটা উত্তেজিত আমি।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *