চলে গেলেন পার্থ ঘোষ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু ‘অগ্নিসাক্ষী’ খ্যাত বাঙালি পরিচালকের
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ১৯৯৬ সালে ‘অগ্নিসাক্ষী’ ও ১৯৯৭ সালে ‘গুলাম এ মুস্তাফা’র মতো ছবির স্মৃতি আজও দর্শকদের কাছে রঙিন। সেই ছবিগুলির নেপথ্যের মানুষটিই আর নেই। চলে গেলেন বাঙালি পরিচালক পার্থ ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫। জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
সোমবার সকালে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন পরিচালক। তারপর বুকে অস্বস্তি। জানা যায়, প্রথমে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে আর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিচালকের এমন আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ। এ দিন সমাজমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পার্থ ঘোষের পরিচালনাতে হিন্দি ছবি ‘তিসরা কৌন’-এর নায়িকা ছিলেন ঋতুপর্ণা। পরিচালকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তিনিও। অভিনেত্রী লেখেন, ‘ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান পরিচালককে আমরা হারালাম। কি বিনয়ী মানুষ ছিলেন তিনি। পার্থ দা, পর্দায় তুমি যা ম্যাজিক তৈরি করেছ, তার জন্য সারাজীবন তোমাকে মনে রাখা হবে।’
একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন পার্থ ঘোষ। তখন ১৯৮৫ সাল। ১৯৯১ সালে মাধুরী দীক্ষিত এবং জ্যাকি শ্রফ অভিনীত ‘হান্ড্রেড ডেজ’ তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি। তামিল ছবির রিমেক ছিল এই ছবি। পরবর্তীতে দিব্যা ভারতী এবং অবিনাশ ওয়াধওয়ানের সঙ্গে তাঁর ‘গীত’ ছবিটিও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৩ সালে ‘দুলাল’ ছবিটির হাত ধরে তিনি ছুঁয়েছিলেন সাফল্যের চূড়া। অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
এর তিন বছর পরেই ‘অগ্নিসাক্ষী’। মনীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ, নানা পটেকর অভিনীত এই ছবিটির মতো সফল বাণিজ্যিক ছবির জুড়ি মেলা ভার। গুলাম এ মুস্তাফা’ ছবিও বিশেষ ভাবে আলোচিত। সেখানেও নানা পটেকর। তবে বিপরীতে রবীনা টন্ডন।