থাইল্যান্ডের কাছে ছেলেদের হারের প্রতিশোধ নিল মেয়েরাই, এশিয়ান কাপে ব্লু টাইগ্রেসরা
স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং, মনে আছে তো!
ভারতের ইতিহাসে অপারেশন সিঁদুর অভিযান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন দুই মহিলা সেনা আধিকারিক। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, মেয়েরা পিছিয়ে নেই।
ভারতীয় ফুটবলে ছেলেদের দল যখন অন্ধকারে ডুবে, আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করার জন্য নতুন কোচের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, তখন স্বপ্নের জাল বুনতে সামনের সারিতে মেয়েরাই। মহিলাদের এএফসি এশিয়া কাপের ছাড়পত্র জোগাাড় করে ফেলল মেয়েদের ভারত। গ্রুপশীর্ষে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৬ সালের এশিয়ান কাপে খেলবে ভারত।
থাইল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারাতেই এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করে ব্লু টাইগ্রেসরা। থাইল্যান্ডকে প্রথমবার হারাল ভারতের মেয়েরা। ফিফার ক্রমতালিকায় থাইল্যান্ড ভারতের থেকে ২৪ ধাপ উপরে। ভারত যেখানে ৭০তম স্থানে, সেখানে থাইল্যান্ড ৪৬ তম স্থানে। গতমাসের শুরুতে এই থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধেই প্রীতি ম্যাচে ০-২ গোলে হেরেছিল পুরুষ দল ৷
২৯ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করেন বাংলার মেয়ে সঙ্গীতা বাসফোর। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে কাঙ্ক্ষিত গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সেই সঙ্গীতাই। ২০০৩ সালে শেষবার যোগ্যতার ভিত্তিতে মহিলা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২০২২ সালে ভারত আযোজক দেশ ছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়। গ্রুপপর্বে প্রতিটা ম্যাচই অসাধারণ খেলেছে ভারত। প্রতিটি ম্যাচেই আধিপত্য বজায় রেখে বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সুইটি দেবীরা।
প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ১৩-০ গোলে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুর লেস্তেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা। এরপর ইরাককে হারায় ৫-০ গোলে হারায়। অর্থাৎ, চার ম্যাচে ভারতের মেয়েরা ২৪টি গোল করেছেন। সত্যিই তো, এই পারফরমেন্স ছেলেদের বিভাগে স্বপ্নের মতোই। ছেলেদের ব্যর্থতার মাঝে নজির গড়ে ফেললেন সঙ্গীতা বাসফোররা।