৩৮-এও একইরকম বাঁ পায়ের তুলি! মাঝমাঠ থেকে ৫ জনকে কাটিয়ে গোল মেসির!
স্পোর্টস ডেস্ক: মানুষ কখনো শিল্পের কাছে যায়, কখনো শিল্পকে কাছে আনে, কখনো নিজের বলয়কে সাজায় শিল্পের আবহে। মেসির মহাকাব্যিক কেরিয়ারটাও এমনই শিল্পে ঘেরা। প্রতিটি অধ্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জয়, শিল্প, আর শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ।স্পর্ধা-সৃজন-শিল্প-দক্ষতা মিলেমিশে একাকার।দেজা ভ্যু—বর্তমানের কোনো ঘটনা, যা অতীতেও ঘটেছে বলে মনে হয়, তা বোঝাতে ফরাসি ভাষার এ কথাটি বহুল প্রচলিত। তাই যেন ঘটালেন।
হ্যাঁ, কেরিয়ারের সায়াহ্নে মেসি মনে করালেন তাঁর অতীতকে। ক্লাব বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ পেরিয়ে ঘরের লিগে ফিরেই চেনা রূপে ফিরলেন লিওনেল মেসি। যেন কিছুই হয়নি—স্রেফ নিজের মাঠ বদলেছেন, পারফরম্যান্সে নয়। মেজর লিগ সকারেও আর্জেন্টাইন মহাতারকার ভুলেই ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করে বসে ইন্টার মায়ামি। কিন্তু মেসি জ্বলে ওঠায় ইন্টার মায়ামি ৪-১ গোলে হারায় মন্ট্রিয়ল সিএফকে। তাতে জোড়া গোল মেসির। দ্বিতীয়ার্ধেই দেখা মেলে মেসির আসল জাদুর। মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় মেসি যখন সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন তখন তাঁর সামনে ছিল তিন ডিফেন্ডার। এরপর দ্রুত একজন পেছনে ফেলে গতি বাড়িয়ে নেন মেসি। তিনি যখন বল নিয়ে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছান তখন শরীরের সঙ্গে লেগে ছিল মন্ট্রিয়লের দুই খেলোয়াড়। হালকা গতি কমিয়ে দুজনকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। বক্সে মেসিকে আটকানোর জন্য তাঁর আশাপাশে ছিলেন সব মিলিয়ে পাঁচজন। মেসি তখন সোজা না গিয়ে বাঁ দিকে হালকা বাঁক নিয়ে একজনকে কাটিয়ে চলে যান ফাঁকা জায়গায়। এরপ নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে কোনো সমস্যাই হয়নি মেসির।
৩৮ বছরেও তিনি জাদু দেখাতে পারেন! ২০০৭ সালে গেটাফের বিরুদ্ধে অনেকটা এমনই গোল করেছিলেন লিও। ওই সময় ধারাভাষ্যকার সেই গোলকে বারবার ‘আঙ্কারা মেসি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। ১৮ বছর পরও সেই একইরকম ঝলক।