বিদেশিহীন ডেম্পোর কাছে আটকে গেল তারকায় ভরা বাগান, কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠল প্রশ্ন

গোল-শূন্য। বিদেশিহীন ডেম্পোর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া মোহনবাগানের থেকে বোধহয় অতিবড় সমর্থকও আশা করেননি এই ফলাফল। তবু এটাই ফুটবল। শিল্ড জিতে, ডার্বি জিতে, সুপার কাপে দুরন্ত জয় দিয়ে শুরু করে মোক্ষম হোঁচট খেল সবুজ মেরুন ডেম্পোর কাছেই। ৯০ মিনিট গোলমুখ খুলতেই ব্যর্থ ম্যাকলারেন-কামিন্সরা। খেলার ফল গোল-শূন্যই রইল। ফলে, আরও একটা ডার্বি নামার আগে চাপেই পড়ল মোহনবাগান। অন্যদিকে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের আটকে দিয়ে ডেম্পো বুঝিয়ে দিল, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ড্র করাটা মোটেই অঘটন ছিল না।
ডেম্পোর বিরুদ্ধে হোসে মলিনা সামনে একা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে রেখে ৪-২-৩-১ এ ছক সাজান। দলে একাধিক পরিবর্তন করেন হোসে মোলিনা। বিশাল কাইথ, টম অ্যালড্রেড এবং আব্দুল সামাদ ছাড়া বাকি আটজনকে বদলে ফেলেন। রক্ষণে টমের নতুন সঙ্গী হন দীপেন্দু। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ চলতে থাকে। তবে গোল করার মতো পরিস্থিতি কোনও দলই তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একাধিক পরিবর্তন করেন মোলিনা। নামান ম্যাকলারেনকেও। কিন্তু একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাকলারেন, পেত্রাতোস, রবসনরা।
এই পারফরম্যান্সের যাবতীয় দায় নিজের কাঁধে নিলেন মোহনবাগানের ‘হেড স্যার’ হোসে মোলিনা। কারণ, ডেম্পোকে কমজোরি ভেবেই হয়তো পরীক্ষার পথে হেঁটেছিলেন তিনি। এরসঙ্গে প্রথম একাদশে ৮ বদল করেছিলেন বাগান কোচ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে আমি ঠিকমতো পরিকল্পনা সাজাতে পারিনি। সেকারণে গোলের সামতে আমরা তেমন সাফল্য পাইনি। এই দোষটা সম্পূর্ণভাবে আমার।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তুলনামূলক ভাল পারফরম্য়ান্স করেছিলাম। তবে, আরও ভাল পারফরম্যান্স অবশ্যই করতে পারতাম। কিন্তু, গোল করতে না পারলে তো আর এইসব কথার কোনও দাম নেই! আগামী ম্যাচ ডার্বি। দুটো দলের কাছেই একেবারে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। আগামী ম্য়াচের জন্য আমরা একেবারে প্রস্তুত। আশা করছি, জয়ের সরণীতে ফিরতে পারব।’
