গোয়ায় জোড়া গোলে ম্যাকলারেনের ম্যাজিক, বৃষ্টিতে চেন্নাইয়িনকে বেলাইন করে বাগানের জয়

শুধু যেন টুর্নামেন্টের নামের বদল। একইরকম ফর্মে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। অন্তত খেলার ফলাফল তাই বলে। আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরুটা করল মোহনবাগান। ম্যাকলারেন ম্যাজিকে চে্ন্নাইয়িন এক্সপ্রেস বেলাইন। শিল্ড জেতায় সবুজ মেরুনের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়িন এফসিকে ২-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। জোড়া গোল জেমি ম্যাকলারেনের। বিদেশিহীন চেন্নাই বাগানের বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধেই করে উঠতে পারল না গোটা ম্যাচে।মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন দেখায় মোলিনার দলকে। এই সুযোগে প্রথমার্ধে বেশিরভাগ লড়াই শানিয়েছিল চেন্নাই-ই। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে একটা সুযোগেই বাজিমাত মোহনবাগানের। ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। লিস্টনের ব্যাক হিল থেকে পাস পেয়ে বল বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি অজি ফুটবলার। যদিও তার এক মিনিট আগেই ফারুখ চৌধুরীর জোরালো শট অনবদ্য সেভ করেন মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ১-০ গোলে এগিয়েই বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বৃষ্টির প্রকোপ কম ছিল। ফলে, স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা শুরু করে সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতেই দলে একটি পরিবর্তন করেন সবুজ মেরুন কোচ হোসে মোলিনা। সাহাল আবদুল সামাদের বদলে একাদশে আসেন সুহেল ভাট। ৬৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ম্যাকলারেন। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে উঠে আসেন মনবীর। এরপর পাস বাড়ান বক্সের মধ্যে থাকা ম্যাকলারেনের দিকে এবং এক্ষেত্রেও কোনও ভুল করেননি জেমি। ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে বলকে সোজা জালে জড়িয়ে দেন এবং মোহনবাগান ম্যাচে লিড নেয় ২-০ ব্যবধানে। অনেকটাই পরের দিকে জেসন কামিন্সকে নামান মোলিনা।যদিও এরপর ও আগে একাধিক চেষ্টাতেও আর গোলের মুখ খোলেনি। খেলার ৮৬ মিনিটে, তাঁর পাস থেকেই লিস্টন প্রায় গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে যান। তবে রুখে দেন চেন্নাইয়ান গোলকিপার মহম্মদ নাওয়াজ।
