প্রথম প্রেম, দাম্পত্যের ইতি! করিনা জীবনে থেকেও কেন বারবার অমৃতাকে মনে পড়ে সইফ আলি খানের?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বিয়েটা হয়েছিল একপ্রকার পালিয়ে। একদিকে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত নায়িকা অমৃতা সিং, অন্যদিকে ১২ বছরের ছোট, বলিউডে সবে পা রাখা সইফ আলি খান। সালটা ছিল ১৯৯১। তাঁদের প্রেম, তারপর আচমকা বিয়ে—সবই তখন বলিউডের মুখরোচক আলোচনা। কিন্তু প্রেমের সেই বাঁধন টেকেনি বেশিদিন। ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তাঁরা। দুই সন্তান— সারা আলি খান (জন্ম ১৯৯৫) ও ইব্রাহিম আলি খান (জন্ম ২০০১) জন্ম নেওয়ার পরেও সম্পর্কে ফাটল ধরেনি।

বিচ্ছেদের পর সইফ নতুন করে সংসার পাতেন করিনা কপূর-এর সঙ্গে। তাঁদের জীবনে আসে দুই সন্তান— তৈমুর ও জেহাঙ্গির। তবে সইফের জীবনে আজও অমৃতা এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ধরে আছেন। যদিও তিনি স্পষ্টই জানান, সম্পর্কের ইতি টানার পর খোরপোশ হিসেবে অমৃতাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল, যার অর্ধেক তিনি তখনই পরিশোধ করেন। পাশাপাশি, ইব্রাহিমের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে খরচ বহন করার দায়িত্বও নেন।
তবে প্রাক্তনের প্রতি সইফের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় সম্প্রতি এক টক শো-তে। কাজল ও টুইঙ্কল খান্না-র অনুষ্ঠানে এসে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে কী ভাবে চলতে হবে, সেই পথটা বুঝতে অমৃতা দারুণভাবে সাহায্য করেন। তাঁর সেই অবদান ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।” রসিকতা করে কাজল তখনই বলেন, “তার মানে, তোমাকে বেশ ভালো মানুষ করেছে!” সইফও হাসিমুখে উত্তর দেন, “ঠিক বলেছো। সন্তানদের খুব ভালো মানুষ করেছে। আমাদের মধ্যে এখন সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে কথা হয়, সাধারণত যখন হাসপাতালে ভর্তি হই, কেবল তখনই!” চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন অভিনেতার ওপর দুষ্কৃতীর আক্রমণ হয়, তখনও অমৃতা পাশে ছিলেন ফোনের ওপারে।
অন্যদিকে, অমৃতা সিং-ও এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল মায়ের মৃত্যু, বিচ্ছেদ নয়। সিঙ্গল পেরেন্ট হিসেবেই তিনি সারা ও ইব্রাহিমকে বড় করেছেন। ভাঙা পরিবারে বড় হওয়ার কারণে একা হাতে সংসার সামলানো তাঁর কাছে তেমন কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল না।