‘জিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য মেয়ে আমাকেই দায়ী করে’, কেন এমন বললেন স্বস্তিকা ?

0

এই তো ক’দিন আগের কথা। ফিল্ম ফেয়ার বাংলার মঞ্চে দেখা দুই প্রাক্তন ‘পার্টনার’ – এর। জিৎ-স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ফের আলোচনায় তাঁদের প্রেমের কাহিনি। এ বার ফিল্মফেয়ার বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে জিতের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মন খোলা আড্ডায় অভিনেত্রী। জিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য নাকি তাঁকেই দায়ী করেন মেয়ে অন্বেষা। জিতের সঙ্গে মেয়ের ভাল বন্ডিংও ছিল বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

স্বস্তিকা বলেন, “জিৎ এবং আমার সম্পর্ক ভাঙার পর আমার বাড়ির সবাই আমাকেই দায়ী করে এখনও। আমার বোন অজপা অনেক কান্নাকাটি করেছিল সেই সময় এবং বাবা-মাও জিতের পক্ষই নিয়েছিলেন। এমনকি, আমার মা এবং বোন জিতের বিয়েতেও গিয়েছিলেন। বোন তখন অঝোরে কাঁদছে। ওর কান্না দেখে আমি বলেছিলাম, এটা কী নাটক হচ্ছে?’

‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ খ্যাত অভিনেত্রী আরও জানান, “আমার মেয়ে এত বছর পরেও ওই সম্পর্ক ভাঙার জন্য আমাকে দায়ী করে। কারণ জিতের সঙ্গে আমার মেয়ের বন্ডিং খুব স্ট্রং ছিল। তাই আমায় অন্বেষা এখনও বলে, আমাদের মধ্যে যেই কারণেই বিচ্ছেদ হোক না কেন, ও সারাজীবন আমাকেই দায়ী করবে। ও বড় হওয়ার পর বলে, কী গুড লুকিং, এটা তুমি কী করলে মা?”



অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমার মেয়ে অন্বেষার মতে জিৎ একজন সুপুরুষ এবং একমাত্র জিতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে ওর কোনও সমস্যা নেই।”

নিজের অন্য সম্পর্কের কথাও বলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “আমার জীবনে মাত্র ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেগুলি ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্কে আমি ছিলাম না। কিন্তু মিডিয়া চা-কফি খেতে গেলেও প্রেম ভেবে নেয়। ছ’টা অনেক কম। লোকের কাছে যদিও ৬০০টার সমান তবে আমি ৫০-এ পা দেওয়ার আগে আরও প্রেম করতে চাই।”

একসময়ের জনপ্রিয় এবং চর্চিত জুটি ছিলেন স্বস্তিকা ও জিৎ। তবে ৬ বছর পর কেন তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় সেটা আজও অজানা। দু’জনের কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি কোনওদিন। দু’জনেই নিজেদের পথ বেছে নেন, বিচ্ছেদের কিছু বছর পরেই বিয়ে সেরে নেন টলি অভিনেতা জিৎ। অপরদিকে স্বস্তিকা তাঁর মেয়ে অন্বেষাকে নিয়ে থাকেন।

বরাবরই প্রাক্তনদের নিয়ে সহজভাবেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী, কোনওদিন কাউকে দোষারোপ করতে দেখা যায় না অভিনেত্রীকে। তাঁকে নিয়ে হওয়া গুঞ্জনেও খুব একটা কান দেন না তিনি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *