পাকিস্তানেরও নীচে ভারত! সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় কত নম্বরে ভারত? কেন শীর্ষে নর্ডিক দেশগুলো?
ট্রেন্ডিং: এই বিশ্বে মানুষ ঠিক কতটা সুখী? উত্তর দিতে বসলে কঠিন অঙ্ক মেলাতে হবে বইকি। তবে শুধু মানুষ নয়, গোটা দেশের খুশির হিসেব নিয়ে হাজির হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টার। ১৪৭টি দেশ নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। জানেন কি এই তালিকায় পাকিস্তানের থেকেও নিম্নস্থানে রয়েছে ভারত। হ্যাপিনেস ইনডেক্সে ১১৮ তম দেশ আমাদের দেশ। অন্যদিকে ১৩৪ নম্বরে বাংলাদেশ।
তাঁদের সমীক্ষায় ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় আবার ফিনল্যান্ড আবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এই নিয়ে টানা আট বার। এছাড়াও রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড এবং সুইডেন-সহ অন্যান্য দেশ। জানেন কি, কেন নর্ডিক অর্থাৎ উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়?
মাথাপিছু উৎপাদন, স্বাস্থ্যকর জীবন, সামাজিক সহায়তা, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির ধারণার মতো একাধিক বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কোনও কারণে কারও মানিব্যাগ হারিয়ে গেলে, তা প্রকৃতভাবে এবং প্রত্যাশিতভাবে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা এই দেশগুলিতে বেশি।
জানা যায়, এই দেশগুলির ‘সুখী’ হওয়ার নেপথ্যে আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন, উত্তর ইউরোপীয় দেশগুলির শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্র রয়েছে যা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদান, শিশুর যত্ন বা শিশু সুরক্ষায় ভর্তুকি এবং পিতৃত্বকালীন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি (প্যারেন্টাল লিভ), সব বিষয়েই তাদের উদারনৈতিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটে।
২০২৫ সালের একটি প্রতিবেদন ইঙ্গিত করে এই দেশগুলির মধ্যে মানুষের একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের দিকটিকেও। দুর্নীতির হারও এই দেশগুলিতে তুলনায় কম। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা রাখেন যে তাঁদের করের টাকা থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সমাজের কল্যাণের খাতেই ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে দেশের মানুষেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও স্বাধীন। এছাড়াও সুষ্ঠু ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স, ছুটি কাটাতে যাওয়ার স্বাধীনতা, সবটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মানসিক শান্তির ক্ষেত্রে। এখানে উদাহরণ হিসেবে বলাই যায় নরওয়ে দেশের কথা। সপ্তাহের ভিত্তিতে ২৭ ঘণ্টার কাছাকাছি মানুষ কাজ করেন। যার কারণে অনেকটা সময় তাঁরা পান নিজের পরিবার এবং সর্বোপরি নিজের জন্য সময় বের করার।