সুপার কাপ জিততে মরিয়া, গোয়ার মাঠে গোয়াকেই টক্কর দিতে তৈরি বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল
গোয়ার মাঠে গোয়াই চ্যালেঞ্জ। কঠিন লড়াই। তবু বছর শেষে ট্রফি ঘরে ঢোকাতে মুখিয়ে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাতের আমলে সুপার কাপ ঘরে এসেছে, অস্কার ব্রুজোর আমলেও কি আসবে, তা দেখতেই অপেক্ষায় লাল হলুদ সমর্থকরা। তবে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে এক্স ফ্যাক্টর যেন একজনই, তিনি অস্কার ব্রুজো। সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখেছেন, তাই ফাইনালের ডাগআউটে তাঁরই থাকা হচ্ছে না। দায়িত্বটা বেড়ে গেছে সহকারী বিনো জর্জের। আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল, ডুরান্ডের সেমিফাইনাল সব হয়েছে, এ বার ট্রফি ঢোকেনি। সুপার কাপ তাই হাতছাড়া করতে নারাজ বিনো জর্জ।

তিনি বলেন, ‘‘ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালে হারি, আইএফএ শিল্ডেও ফাইনালে উঠে হেরে যাই। এ বছর এই নিয়ে তৃতীয় ফাইনাল আমাদের। প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া খুবই ভাল দল। তবে আমরা এখানে লড়াই করে কাপ জিততেই এসেছি। এই লড়াইয়ের জন্য আমরা ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিপক্ষকে নিয়েও আমরা যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেছি। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলব’’। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে কারণ, অস্কার ব্রুজোকে লাল কার্ড দেখালেও, সেমিফাইনালেই বোঝা যায় কলকাতার লালহলুদ বাহিনী বেশ ছন্দে রয়েছে।
সুপার কাপে বরাবরই ভাল খেলার নজির রেখেছে ইস্টবেঙ্গলের। ২০১৮ থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। তারমধ্যে ২০১৮ সালে রানার্স হলেও, ২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। এ বার তাদের সামনে দ্বিতীয়বার সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। অবশ্য এফসি গোয়ার সুপার কাপের ইতিহাস আরও ভাল। যে দু’বার তারা ফাইনালে উঠেছে, সেই দু’বারই তারা খেতাব জিতেছে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হামিদ খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অবশ্য চিন্তা রয়েছে। প্র্যাকটিসে বল নিয়ে অনুশীলনের বদলে হামিদ ফিজিওর সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছেন। ফলে ফাইনালে স্ট্রাইকার হিসেবে হিরোশিই ভরসা।বিনো জর্জ বলেন, ‘‘দল গোল পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়। দলে একাধিক গোলদাতা থাকার এটাই সুবিধে। আমাদের স্ট্রাইকাররা ছন্দে রয়েছে। তবে আশার কথা চোটমুক্ত হয়ে খেলবেন জয় গুপ্তা।
