১০ জনে লড়ে ৮৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েও স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের, স্বপ্নভঙ্গ এএফসিতেও
স্পোর্টস ডেস্ক: আইএসএলের খারাপ পারফরমেন্সের ক্ষত ছিলই, সেই জ্বালা আরও বেড়ে গেল লাল হলুদের এএফসিতেও স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায়। তুর্কমেনিস্তানের সেরা ক্লাব আর্কাদাগ এফসির কাছে হেরে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হল। যুবভারতীতে ১-০ হারলেও বিদেশের মাঠে এদিন সেই ফলাফল পাল্টে দিতে মরিয়া চেষ্টাই চালায় ইস্টবেঙ্গল।
প্রায় ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল। এরপরই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ ও অতিরিক্ত সময়ে জয় পায় আর্কাদাগ। অথচ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি বাউলি। তিনি অবশ্য আরও সুযোগ পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেওয়ার, কিন্তু হেলায় হারিয়েছেন সে’সব সুযোগ। লড়াই যে’টুকু চলছিল তা ফিকে হয়ে যায় ৩৩ মিনিটে নুঙ্গা লাল কার্ড (জোড়া হলুদ কার্ড) দেখায়। রেফারির এই সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে কোচ অস্কার ব্রুজো প্রতিবাদ দেখালে তাকে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান।
এরপর থেকে ১০ বনাম ১১ জনের অসম লড়াই শুরু হয়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধেই প্রতিকূলতার মধ্যেই লড়াই জারি রাখে লাল হলুদ ব্রিগেড। হেক্টর ইউস্তে, জিকসন সিং, মহম্মদ রকিপরা তো সব সময় সতর্ক ও মরিয়া ছিলেনই। মনেই হচ্ছিল না খেলাটা দশ বনাম এগারোর হচ্ছে। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবকে আটকে রেখেছিলেন সউল ক্রেসপো, দিমিরা। আশাও জাগছিল। কিন্তু বক্সের মধ্যে সৌভিকের একটি বাজে ট্যাকলের কারণেই ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন রেফারি। তাতে গোল করতে ভুল করেননি আন্নাদুরদিয়েভ।
ড্র করার সঙ্গে সঙ্গেই আর্কাদাগের সেমিফাইনাল টিকিট কনফার্ম হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে খেলা চলাকালীন আরও একটা গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় আর্কাদাগ। ৯৬ মিনিটে গোল করেন হাইড্রো। কোয়ার্টার ফাইনালের জোড়া লেগ মিলিয়ে এফকে আর্কাদাগ ৩-১ গোলে জয়লাভ করে। তাতেই নিভে যায় মশাল। উল্লেখ্য, সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটা ইস্টবেঙ্গলকে কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হত। কারণ, প্রথম লেগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল।